লন্ডভন্ড ট্রেনের সিডিউল, বিলম্বে অর্ধেক দিন পার
আনোয়ার আজমী, বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (১০ আগস্ট) : কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে লন্ডভন্ড ট্রেনের সিডিউল। বিলম্বেই ঘরমুখো যাত্রীদের কমলাপুর রেল স্টেশনেই অর্ধেক দিন পার। একদিন পরেই অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল আযহা। নাড়ির টানে রাজধানী থেকে ঘরমুখো মানুষদের একটু যানজট এরিয়ে ট্রেনে আনন্দের ঈদযাত্রা দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে।
রেলের পশ্চিমাঞ্চলে ট্রেনের সময়সূচি ভেঙে পড়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব ট্রেনে সর্বোচ্চ ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্ব হবে। এ পরিস্থিতিতে ঈদের আগে দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে রেলের কর্মকর্তারা মনে করছেন।
গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা, রাজশাহী, রংপুর বিভাগে ট্রেন সর্বোচ্চ সাড়ে নয় ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বে ছেড়েছে। গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চলগামী যমুনা সেতু পার হয়ে যেসব ট্রেন ঢাকা ছাড়ে, আজ শনিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত সেসব ট্রেনের কোনোটি স্টেশনে এসেই পৌঁছায়নি। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের পুরো প্ল্যাটফর্মে মানুষ শুয়ে–বসে অবস্থান করছেন। ট্রেন আসার কোনো নির্দিষ্ট সময় না থাকায় সবাই এখন অধীর আগ্রহে ট্রেনের অপেক্ষা করছে।
সাধারণত রেল কর্তৃপক্ষ ট্রেনের দেরি হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করতে চায় না। পশ্চিমাঞ্চলের কোন কোন ট্রেন কত সময় পর্যন্ত দেরি করতে পারে, আজ সকালে এর একটা ধারণা প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। এতে দেখা যায়, সকাল ছয়টার ধূমকেতু এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য সময় বেলা আড়াইটা। সকাল ৬টা ২০ মিনিটের সুন্দরবন এক্সপ্রেস দুপুর সাড়ে ২টায়, সকাল আটটার নীলসাগর এক্সপ্রেস বিকেল সাড়ে চারটায় ছাড়তে পারে।
সবচেয়ে দেরিতে ছাড়বে লালমণি ঈদ স্পেশাল (৫)। এটি সকাল সোয়া নয়টায় ছাড়ার কথা থাকলেও প্রায় ১৩ ঘণ্টা দেরিতে রাত সাড়ে ১০টায় তা ছাড়তে পারে। এরপরই আছে রংপুর এক্সপ্রেস। সকাল নয়টার ট্রেনটি ১২ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়বে রাত নয়টায়। এখন পর্যন্ত ঈশা খাঁ, জয়ন্তিকা, রাজশাহী এক্সপ্রেসের সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করতে পারেনি রেল কর্তৃপক্ষ।
উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম দেরিতে ছাড়ছে একতা এক্সপ্রেস। সকাল ১০টার একতা এক্সপ্রেস বেলা সাড়ে ১১টায়ও এসে পৌছায়নি। রংপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুরগামী যাত্রীদের সবাই এখনও একতা এক্সপ্রেসের পথ চেয়ে আছেন।