বিরোধীদলেও আসুক স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি
প্রতিবেদক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: দীর্ঘ ২১ বছর এদেশ ছিল শৈরাচার, স্বাধীনতা বিরোধী ধর্মান্ধদের হাতে। দেশকে করেছিল জঙ্গীরাস্ট্র। সততা,নিষ্ঠা এবং দেশ প্রেম হয়েছিল ভুলন্ঠিত। বাংলাদেশ পরিচিতি পেল দূর্নীতিগ্রস্থ রাষ্ট্রর তকমা। অনেক হয়েছে আর নয়,জাতির পিতাকে হারিয়েছি। আমরা চাই, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিই বিরোধী দল হিসেবে আসুক। যারা কথা বলবে দেশের জন্য, কল্যাণের জন্য,সত্য ও ন্যায়ের পথে বলে অভিহিত করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড.মো: আব্দুর রাজ্জাক।
২৪ অক্টোবর (শনিবার)কাকরাইল সুপার মার্কেট এলাকায় আয়োজিত ১৫আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নিকৃষ্ট জঘন্য হত্যাকান্ড কোথাও ঘটেনি, যেখানে শিশু,অন্তসত্তা এবং নব বধুও রেহাই পায়নি এই সে আগস্ট মাস। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তিলে তিলে ধ্বংস করা,স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশ পরিচালনা করবে। ১৫ ও ২১ আগস্ট একই সুতোয় গাথা। স্বাধীনতা বিরোধীরা এখন ঘাপটি মেরে আছে দেশে বিদেশে।সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত থাকতে হবে হবে। তিনি দেশকে উন্নয়নের যে মহাসড়কে উঠিয়েছেন তা বাস্তবায়নে তার হাতকে শক্তিশালি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন; একাত্তরে পরাজিত গোষ্ঠী,এখনও তারা নানা চক্রান্ত করছে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এদের কঠোর ভাবে মোকাবেলা করবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ধরে দেশ পরিচালনা করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
শোক দিবসের আলোচনা তখনই সফল হবে যখন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসারে তার দেখানো পথে আমরা চলবো। তারেক জিয়াদের বিচার কার্যকর করার মাধ্যমে।
অত্র অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রমনার ১৯ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুন্সি কামরুজ্জামান কাজল দাবি করেন, জাতির পিতা ও তার স্বপরিবারকে যারা নিশংস ভাবে হত্যা করেছে এবং যেসব খুনিদের বিচারের আওতায় এখনো আনতে পারিনি সরকার তাদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে তা কার্যকর করা হোক। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি বাংলাদেশ কেন পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে ও যাতে না ঘটে সেই দৃষ্টান্ত উপস্থাপন হোক।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রমনা থানার ১৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি আবদুস সালাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডা. নজরুল ইসলাম স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, আওয়ামী লীগ ঢাকা দক্ষিণ।বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন আাবুল হাসনাত, সভাপতি ঢাকা মহনগর দঃ আওয়ামী লীগ। আবুল বাসার,সাধারন সম্পাদক রমনা থানা। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিল শাহে আলম মুরাদ,সাধারন সম্পাদক,ঢাকা মহানগর দঃ আওয়ামী লীগ।