গণমাধ্যমই পারে বিশ্বের বুকে দেশকে তুলে ধরতে

প্রতিবেদক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: সাংবাদিকরাই পারেন বাংলাদেশকে বিশ্বে ইতিবাচক হিসেবে তুলে ধরতে পারে বলে মন্তব্য করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী।

২৫ সেপ্টেম্বর (বুধবার) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অর্থায়নে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ এর আয়োজনে পর্যটন ফেলোশিপ-২০১৯ প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

এ বছর পর্যটন সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমের ১০ জন সাংবাদিককে পর্যটন ফেলোশিপ-২০১৯ প্রদান করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বাংলাদেশের প্রভূত উন্নতি হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই সাথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের পর্যটন। আজ দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, বিদ্যুৎ প্রতি ঘরে ঘরে, দেশের দারিদ্র্য দূরীকরণ হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ কানেক্টিভিটি বেড়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এই মুহূর্তে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। এই সবগুলো বিষয় বাংলাদেশের পর্যটন কে এগিয়ে নেয়ার জন্য সহায়ক। পর্যটনের প্রসারের জন্য এই সহায়ক বিষয়গুলো গণমাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। সারা বিশ্বের মানুষ যেন ইতিবাচক ধারণা পায় সেভাবে আমাদের ভালো বিষয়গুলো সংবাদমাধ্যমে নিয়ে আসতে হবে।

মাহবুব আলী বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং সার্বিক অবস্থা ভালো বলেই এখন জাপান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ট্যুর অপারেটররা আমাদের দেশে পর্যটক পাঠাতে আগ্রহী। হলি আর্টিজানের ঘটনার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আমাদের দেশে ভ্রমণ অ্যালার্ট জারি করেছে। সেই অ্যালার্টগুলো দূরীকরণে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে সম্মিলিতভাবে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।আজ সারা বিশ্ব বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করে। বাংলাদেশের পর্যটনকে এগিয়ে নিতে আমাদের সবার দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব মোঃ মহিবুল হক বলেন, গণমাধ্যমের সহযোগিতা ছাড়া পর্যটনকে এগিয়ে নেয়া যাবেনা । পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে আমরা মাস্টারপ্ল্যানের কাজ চূড়ান্ত করেছি। অক্টোবরের ৭ তারিখের মধ্যে মাস্টারপ্ল্যানের ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হবে। পর্যটন মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নে আমরা সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিনিধির বক্তব্য শুনেছি।

তিনি বলেন, এখন কতজন বিদেশি পর্যটক বাংলাদেশে আসে এর পরিসংখ্যান পাওয়া যায় পুলিশের বিশেষ শাখা হতে। বিদেশি পর্যটকদের পরিসংখ্যান পাওয়ার জন্য অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম সফটওয়্যার চালু হবে। ২০২০ সালের জুনের মধ্যেই এই সফটওয়্যারটি কার্যকর হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এটি চালু হলে কতজন বিদেশি পর্যটক বাংলাদেশ ভ্রমণ করে এর সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে।

সচিব বলেন, পর্যটন কে এগিয়ে নিতে ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড আইন প্রণয়ন এবং বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন আইন কে যুগোপযোগী করা হচ্ছে। পর্যটন শিল্পে দক্ষ কর্মশক্তির যোগান দেয়ার জন্য এনএইচটিটি কে আরো আধুনিক করে আলাদা জমিতে প্রতিষ্ঠা করা হবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে সেখানে পর্যটনের উপর পাঁচ বছর মেয়াদি কোর্স পরিচালনা করা হবে।

অনুষ্ঠানে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের সভাপতি নাদিরা কিরনের উপস্থাপনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডঃ ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম, টোয়াব এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রফিউজ্জামান, আটাব এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম আরিফ, এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক তানজিম আনোয়ার সহ পর্যটন খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ