আ.লীগ সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী সংগঠন : শেখ হাসিনা
আনোয়ার আজমী, বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (২০ ডিসেম্বর ২০১৯) : আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী সংগঠন। বারবার আঘাত এলেও এই সংগঠনকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পথেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
আজ শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা ও তার পরবর্তী ঘটনার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা হয়েছে, স্বাধীনতা বিরোধীতে ক্ষমতায় আনা হয়েছে, রাজনীতির সুযোগ দেওয়া হয়েছে, মন্ত্রী করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু পরিবারের হত্যাকারীদের বিচারের পথ বন্ধ করা হয়েছে। ১৯৮১ সালে তাঁকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয় জানিয়ে তিনি ছোট থেকে নিজের রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতি তুলে ধরেন। শেখ হাসিনা বলেন, চেষ্টা করেছি আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার। তারপরেও আঘাত এসেছে। ভাঙন এসেছে, ধীরে ধীরে সংগঠনকে গড়ে তুলেছি। আজকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে সব থেকে বড় সংগঠন এবং সব থেকে শক্তিশালী সংগঠন।’
বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগের ওপর বারবার আঘাত এসেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সংগঠনকে শেষ করে দেওয়ার অনেক প্রচেষ্টা অনেকেই করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া আদর্শের সংগঠনকে কেউ নিঃশেষ করতে পারেনি। সংগঠনের সাময়িক ক্ষতি সাধিত হয়েছে কিন্তু আওয়ামী লীগ সংগঠনকে একেবারে ধ্বংস করে দিতে পারেনি।’
শেখ হাসিনা বলেন, এত অল্প সময়ে কোনো দেশ যুদ্ধে ভয়াবহতা কাটিয়ে এগিয়ে যেতে পারে, যা একমাত্র বাংলাদেশেই জাতির পিতা তাঁর নেতৃত্বে সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।
বিএনপির কথা উল্লেখ করে বলেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা দেশের জন্য কোনো কল্যাণ করতে পারে না। দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মানিলন্ডারিং, অস্ত্র চোরাকারবারী, গ্রেনেড হামলা, আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের ওপর অত্যাচার করেছে তারা। তিনি আরও বলেন, এক দশক আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। এই সময়ে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে, দারিদ্র্যের হার কমেছে। জাতির পিতা স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে রেখে গিয়েছে তা এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উপনীত হয়েছে।
উন্নয়নের ধারা ধরে রাখতে হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে। জাতির পিতার লক্ষ্য ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা, সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’ তাঁর সরকারে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীসহ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ ছাড়া বক্তব্য শেষে আজকের মতো সম্মেলন মুলতবি ঘোষণা করেন। আগামীকাল শনিবার শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।