টাঙ্গাইলে দুটি গ্রাম অদৃশ্য হয়ে গেল
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, টাঙ্গাইলঃ এক সপ্তাহে যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার দুইটি গ্রাম বলতে গেলে অদৃশ্য হয়ে গেছে মানচিত্র থেকে। যেখানে দু’সপ্তাহ আগে ছিল হাজারও মানুষের বসতভিটা, আবাদি জমি, বাজার, বিদ্যালয় ইত্যাদি। আজ সেখানে পানি ছাড়া আর কিছুই নেই। আরো দুটি নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়ার পথে।হেমনগর ইউনিয়নের পশ্চিম শাখারিয়া ও চক ভরুয়া ইতিমধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
আর ঝাওয়াইল ইউনিয়নের চক সোনামুই ও চর সোনামুই গ্রামে তীব্র ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ দুটি গ্রামের দুই তৃতীয়াংশ নদীগর্ভে চলে গেছে। বাকিটা যাই যাই করছে।
এলাকার আতঙ্কিত বাসিন্দারা বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছে। আর যারা তা করতে পারছে না, তারা অসহায়ভাবে দেখছে সব নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে।
সোনামুই গ্রামের আবুল হোসেন এবিসি নিউজ বিডিকে জানান, ভাটিতে বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মিত হওয়ার পর উজানে যমুনার মূল স্রোতধারা বামে সরে এসে এসব জনপদে হানা দেয়।
গত ছয় দিনের ভাঙনে চর সোনামুই গ্রামের দুই সহস্রাধিক একর আবাদী জমি এবং ছয় শতাধিক বাড়িঘর ও বসতভিটা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
চর সোনামুই বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটির নির্মাণ কাজ গত সোমবার শেষ হয়। বুধবার সেটি নদীগর্ভে চলে যায়।
এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও আশপাশের গ্রামে আশ্রয় নিচ্ছে।
গ্রামের কয়েকহাজার পরিবার এখনো পানিবন্দি। তাদের এখনো কোনো সরকারি সাহায্য দেয়া হয়নি বলে প্রশাসন থেকে জানানো হয়।
উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার এবং ইউএনও তানজিলা ইসলাম বুধবার ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। ইউনুস ইসলাম তালুকদার জানান, বরাদ্দের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও অনাহারী মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা সম্ভব হয়নি।