‘করোনা মহামারি থেকে বাঁচতে ঘরে থাকুন’
মোস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (৭ এপ্রিল ২০২০) : এলাকায় বেশ কয়েকজনের সংক্রমণের কারণে ঢাকার অন্যতম করোনা ক্লাস্টার বাসাবোতে যেন ঈদের চাঁদ উঠেছে, স্থানীয়দের সমাগম দেখে এমনটিই মনে হয়েছে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলামের কাছে।
কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে ঘরে থাকা এবং ঈদের চাঁদ দেখার মতো জড়ো না হতে আহবান জানিয়েছেন।
স্ট্যাটাসে মনিরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘অনেকদিনই ঢাকায়। ছাত্রজীবনে না হলেও চাকরিজীবনে বিশেষ ব্যতিক্রম ছাড়া কর্মস্থলেই ঈদ করি। আমার অনেকদিনের অভ্যাস হলো ঈদের আগের ও পরের দিন ঢাকার অলিগলি ঘুরে দেখা। যেহেতু কোটি মানুষ ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে যায়, সেহেতু রাস্তাঘাট খুব ফাঁকা থাকে। তবে অলি গলির মোড়ের দোকান খোলা থাকে, যেখানে প্রচুর সংখ্যক স্থানীয় মানুষ ঘোরাফেরা করে, আড্ডা দেয়। বিশেষ করে ঈদুল ফিতরের চাঁদ রাত অর্থাৎ ঈদের চাঁদ দেখা গেলে অলিগলির বাসাগুলো থেকে ছেলেরা বেরিয়ে আসে, জম্পেশ আড্ডা দেয়। করোনার ভ্যাকেশনে প্রতিদিনই কমবেশী অফিস করি, সরেজমিনে আমাদের পুলিশের যে সমস্ত সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে, তাদের কাজ দেখি। তার অংশ হিসেবেই আজ দুপুরে বাসাবোর গলিতে গিয়ে মনে হলো ঈদের চাঁদ দেখা গেছে, সবাই কেনাকাটা করছে। কেউ তরমুজ, কেউ পেঁপে, কেউ আনারস, কোকের বোতলও দেখা গেল কারো কারও হাতে।
মনিরুল আরও লেখেন, ‘মহামারির ইতিহাস জানি বলেই বিশ্বাস করি যে, করোনার ওষুধ কিংবা ভ্যাকসিন বেরুলে নভেল (কোভিড-১৯) কেবলমাত্র ভাইরাল ফেভার হয়ে যাবে, যা দু’দিন ওষুধ খেলে সেরে যাবে। কিন্তু যতদিন তা না হয়, ততদিন করোনা মহামারিই হিসেবেই প্রাণহরণ করতে থাকবে। আমি জানি, এই লেখা আপনারা যারা পড়বেন তারা কেউ কেউ ওষুধ কিংবা ভ্যাকসিন আবিষ্কার দেখবেন না, আমি নিজেও দেখতে না পারি। ঢাকা শহরের অলিগলি, রাস্তাঘাট কিন্তু ঠিকই থাকবে, চায়ের দোকান থাকবে, থাকবে মসজিদ, মন্দিরসহ উপাসনালয়। করোনা থেমে গেলে এসব দেখার সুযোগ থাকবে। যদি এগুলো দেখতে চান, বেঁচে থাকতে চান, তাহলে পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনীকে ফাঁকি দেবেন না। কোন ধরনের গুজবে কান দেবেন। একই সঙ্গে যাচাইবাছাই না করে গুজবে কান দেওয়া থেকে সর্তক থাকুন। ’