এন-৯৫ মাস্ক বনাম সার্জিক্যাল মাস্ক

ডেস্ক প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (৭ এপ্রিল ২০২০) : করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে রক্ষা করতে আমরা প্রায় সবাই এখন মাস্ক ব্যবহার করছি। তবে সার্জিক্যাল মাস্ক, ঘরে তৈরি মাস্ক নাকি এন-৯৫ মাস্ক করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বেশি কার্যকর, তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে।

এন-৯৫ মাস্ক হলো মূলত চিকিৎসা কর্মীদের ব্যবহার করার মাস্ক, যা বাতাসের ৯৫ শতাংশ ক্ষুদ্র কণা আটকে রাখতে সক্ষম। পরিবেশ দূষণ ঠেকাতে বিশেষ যেসব মাস্ক তৈরি হয়, আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিটিউট অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ (এনআইওএসএইচ) সেগুলোকে ‘এন’, ‘আর’, ‘পি’- এই তিনটি ভাগে ভাগ করে। ‘এন’ মানে নট অয়েল রেজিস্ট্যান্ট টু অয়েল, ‘আর’ মানে রেজিস্ট্যান্ট টু অয়েল, ‘পি’ মানে অয়েল প্রুফ। সেই হিসেবে এন-৯৫, আর-৯৫ ও পি-৯৫, এন-৯৯, আর-৯৯, পি-৯৯, এন-১০০, আর-১০০ ও পি-১০০ ক্যাটেগরির মাস্ক তৈরি হয়।

যেহেতু এন-৯৫ মাস্ক চিকিৎসা কর্মীদের মাঝে বেশি প্রচলিত, তাই করোনার বিস্তারে সাধারণ মানুষও এই মাস্ক কেনা শুরু করলে আমেরিকায় এই মাস্কের সংকট দেখা দেয়। এ অবস্থায় আমেরিকার সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল প্রতিষ্ঠানটি জোর দিয়ে বলেছে, বাইরে যদি কাজের প্রয়োজনে বের হতেই হয়, তাহলে অবশ্যই কাপড়ের তৈরি মাস্ক পরে বের হলেই ভালো। এন-৯৫ মাস্ক শুধু ডাক্তার ও চিকিৎসা কর্মীদের জন্য, উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটি।

এন-৯৫ মাস্ক বনাম সার্জিক্যাল মাস্ক: সার্জিক্যাল মাস্কগুলোর সাথে এন-৯৫ মাস্কের একটা পার্থক্য আছে। আর তা হলো এটি যারা মুখে দেন, তাদের মুখের সাথে খুব আঁটসাঁট হয়ে লেগে থাকে, যাতে বাতাসের কোনো ক্ষুদ্র কণা শরীরে প্রবেশ করতে না পারে। এছাড়া আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এর তথ্যমতে, এন-৯৫ মাস্কও রোগ জীবাণু পুরোপুরি ঠেকাতে পারে না। আর এই মাস্ক বা অন্য সার্জিক্যাল মাস্ক রিইউজ করা যায় না। আরেকটি জরুরি বিষয় হলো- যেসব রোগী জটিল শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা বা হৃদরোগে ভুগছেন, তাদের জন্য এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এই মাস্ক ব্যবহার করলে উল্টো ওই রোগীর শ্বাস নিতে আরো জটিলতা দেখা দিতে পারে। এছাড়া এন-৯৫ মাস্ক চিকিৎসা কর্মী আর ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকা, যেখানে ভবন বা স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলছে, সেই এলাকায় কাজ করা লোকদের ব্যবহার করার জন্য তৈরি করা হয়। তাই বাইরে খুব প্রয়োজনে বের হলে সাধারণ মাস্ক পরে বের হওয়াই উচিত। কারণ করোনা ভাইরাস বাতাসে ভেসে বেড়ায় ৩০ মিনিটের মতো। কেউ হাঁচি দিলে, কথা বললে, থুথু ফেললে ওই ভাইরাস যেন আপনার শরীরে প্রবেশ করতে না পারে, সে চেষ্টা করতেই যেকোনো ধরনের মাস্ক ব্যবহার জরুরি।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ