ঢাকার ৯ হাসপাতালের সেবা পাচ্ছেন করোনা রোগীরা
মনির হোসেন মিন্টু, বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (৯ এপ্রিল ২০২০) : শুধু করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য রাজধানীতে সরকার–নির্ধারিত হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগ প্রস্তুত। এসব হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের পদায়ন করা হয়েছে। তাঁদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রীও (পিপিই) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রাজধানীতে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নয়টি হাসপাতালের নাম বলা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি সরকারি হাসপাতাল। এখন পর্যন্ত শুধু কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে করোনা সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকি পাঁচটি সরকারি হাসপাতাল হচ্ছে মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, মতিঝিলের রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল, বাবুবাজার এলাকার মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুরের মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল। আর বেসরকারি তিন হাসপাতাল হচ্ছে উত্তরা ও মিরপুরের রিজেন্ট হাসপাতাল এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল এলাকার কাছে অবস্থিত সাজিদা ফাউন্ডেশন।
সরকার–নির্ধারিত চারটি সরকারি (কুর্মিটোলা ব্যতীত) এবং দুটি বেসরকারি হাসপাতাল (উত্তরার রিজেন্ট ব্যতীত) গত মঙ্গলবার সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন প্রথম আলোর দুই প্রতিবেদক। এই ছয়টি হাসপাতালেই করোনার উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের জন্য বহির্বিভাগ খোলা হয়েছে।
রোগীদের জন্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) এবং কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস দেওয়ার সুবিধা বা ভেন্টিলেশন জরুরি। এই ছয় হাসপাতালের তিনটিতে আইসিইউ সুবিধা নেই। শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে ১৬টি আইসিইউ চালুর প্রস্তুতি চলছে। সাজিদায় আইসিইউর ৪টি শয্যা থাকলেও তা এখনো চালু হয়নি। যদিও এখানে ছয়জন রোগী আইসোলেশনে (বিচ্ছিন্নকরণ) আছেন। ৫০ শয্যার মিরপুরের রিজেন্ট হাসপাতালে চারটি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক সায়েদুর রহমান জানান, সার্বক্ষণিক বহির্বিভাগ চালু আছে। করোনায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি করার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।