রফতানিমুখী কিছু কারখানা আমাদের খুলতেই হবে: প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (২০ এপ্রিল ২০২০) : গার্মেন্ট কারখানা চালুর খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন। এ জেলার করোনা প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় গার্মেন্ট শিল্প চালুকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার। তবে বাস্তবতার কারণে কিছু শিল্প কারখানা চালু করা জরুরি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘কিছু কিছু গার্মেন্ট কারখানার পণ্য রফতানির জন্য খোলা রাখতে হবে। এটাও ঠিক সামনে রোজা সবাইকে একেবারে বন্ধ করে রাখতে পারবো না। আস্তে আস্তে কিছু কিছু জায়গায় উন্মুক্ত করতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে গার্মেন্ট মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করার পরার্মশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী সোমবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা বিভাগের চারটি এবং ময়মনসিংহ বিভাগের সব জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় করেন। এসময় জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার গার্মেন্টস চালু নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানান।
জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘গাজীপুর একটি শিল্প সমৃদ্ধ জেলা। বর্তমানের জেলায় ৩৫টি ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানিসহ মানুষের খাবার, মুরগি ও মৎস্য খাবার, পোল্ট্রি হ্যাচারি এবং ১৮টি পিপিই প্রস্তুতকারীসহ ১২০ প্রতিষ্ঠানের বিশেষ উপায় চালু আছে। বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে আগামী ২৬ এপ্রিল রফতানিমুখী অনেক গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠান খুলবে বলে জানিয়েছেন। শ্রমিকদের আসার জন্য পর্যাপ্ত বাস চেয়েছেন তিনি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আমাদের ১২০টি প্রতিষ্ঠানের চালু রাখতে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। সেখানে যদি আরও প্রতিষ্ঠান চালু হয় তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা আমাদের জন্য দুরূহ হবে। স্বাস্থ্যবিধি কী হবে এটা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন থাকতে হবে।’
লকডাউন নিশ্চিত করতে গিয়ে গাজীপুর জেলা নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে উল্লেখ করে জেলার পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেন, ‘যে কারখানাগুলো খোলা রয়েছে তারা কোনোরকম স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। চাকরি টিকিয়ে রাখতে মেয়েরা একহাতে কোলের বাচ্চা নিয়ে আরেক হাতে ব্যাগ নিয়ে আসছে। আমরা অনেক উদার মালিক দেখেছি। যারা মার্চ মাসেই দুই মাসের বেতন দিয়ে দিয়েছেন। আবার এখনও অনেক মালিক রয়েছেন যারা বেতন দেবেন বলে শ্রমিকদের ডেকে নিয়ে আসছেন। কিন্তু বেতন দিতে পারছেন না। এটা লকডাউন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অনেক বড় অন্তরায়। আমাদের এটা নিয়ে ভাবতে হবে।’
যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধের মধ্যে গার্মেন্ট শ্রমিক আসায় গাজীপুর বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে এমনটা জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘প্রথমদিকে গাজীপুরের অবস্থা অনেক ভালো ছিল। হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করে আমরা অনেক ভালো রেখেছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয়বার গার্মেন্ট খুলে দেওয়ার পর শ্রমিকরা আসতে শুরু করলো তখন নারায়ণগঞ্জের একটি কারখানায় ২৫ জন করোনা শনাক্ত হলো। আমাদের জেলাটিও এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। আবার যদি শ্রমিকরা এভাবে আসা-যাওয়া করেন তাহলে বেগ পেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গাজীপুরে যারা ফ্যাক্টরিতে কাজ করছেন তাদের নিরাপদ রাখতে সুনির্দিষ্টভাবে আপনার দিক নির্দেশনা প্রয়োজন। আর গাজীপুরে অনেক ভাসমান মানুষ রয়েছেন। তাদের ঘরে রাখতে হলে অবশ্যই ত্রাণ সঠিকভাবে বিতরণ করতে হবে।’
গার্মেন্ট কারখানার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা থাকতে হবে। কিছু অসৎ ব্যবসায়ী সুযোগ নিচ্ছে অভিযোগ তুলে পুলিশ সুপার বলেন, ‘অনেক ব্যবসায়ীরা কিন্তু সুযোগ নিচ্ছেন। পিপিই বানানোর কথা বলে শ্রমিকদের ডেকে এনে অন্য পণ্য বানাচ্ছেন। তারা শ্রমিকদের ঠকাচ্ছে। কত প্রয়োজন হয় তাদের? বঙ্গবন্ধু যেমনটা বলেছিলেন আমার কৃষক আমার শ্রমিক তো চোর নয়। তারা তো কিছু চায় না। একমুঠো ভাতই তাদের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু যাদের আছে যারা শিক্ষিত…. তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক কিন্তু এখনও সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে।’
বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (২০ এপ্রিল ২০২০) : গার্মেন্ট কারখানা চালুর খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন। এ জেলার করোনা প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় গার্মেন্ট শিল্প চালুকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার। তবে বাস্তবতার কারণে কিছু শিল্প কারখানা চালু করা জরুরি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘কিছু কিছু গার্মেন্ট কারখানার পণ্য রফতানির জন্য খোলা রাখতে হবে। এটাও ঠিক সামনে রোজা সবাইকে একেবারে বন্ধ করে রাখতে পারবো না। আস্তে আস্তে কিছু কিছু জায়গায় উন্মুক্ত করতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে গার্মেন্ট মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করার পরার্মশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী সোমবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা বিভাগের চারটি এবং ময়মনসিংহ বিভাগের সব জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় করেন। এসময় জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার গার্মেন্টস চালু নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানান।
জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘গাজীপুর একটি শিল্প সমৃদ্ধ জেলা। বর্তমানের জেলায় ৩৫টি ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানিসহ মানুষের খাবার, মুরগি ও মৎস্য খাবার, পোল্ট্রি হ্যাচারি এবং ১৮টি পিপিই প্রস্তুতকারীসহ ১২০ প্রতিষ্ঠানের বিশেষ উপায় চালু আছে। বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে আগামী ২৬ এপ্রিল রফতানিমুখী অনেক গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠান খুলবে বলে জানিয়েছেন। শ্রমিকদের আসার জন্য পর্যাপ্ত বাস চেয়েছেন তিনি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আমাদের ১২০টি প্রতিষ্ঠানের চালু রাখতে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। সেখানে যদি আরও প্রতিষ্ঠান চালু হয় তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা আমাদের জন্য দুরূহ হবে। স্বাস্থ্যবিধি কী হবে এটা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন থাকতে হবে।’
লকডাউন নিশ্চিত করতে গিয়ে গাজীপুর জেলা নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে উল্লেখ করে জেলার পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেন, ‘যে কারখানাগুলো খোলা রয়েছে তারা কোনোরকম স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। চাকরি টিকিয়ে রাখতে মেয়েরা একহাতে কোলের বাচ্চা নিয়ে আরেক হাতে ব্যাগ নিয়ে আসছে। আমরা অনেক উদার মালিক দেখেছি। যারা মার্চ মাসেই দুই মাসের বেতন দিয়ে দিয়েছেন। আবার এখনও অনেক মালিক রয়েছেন যারা বেতন দেবেন বলে শ্রমিকদের ডেকে নিয়ে আসছেন। কিন্তু বেতন দিতে পারছেন না। এটা লকডাউন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অনেক বড় অন্তরায়। আমাদের এটা নিয়ে ভাবতে হবে।’
যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধের মধ্যে গার্মেন্ট শ্রমিক আসায় গাজীপুর বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে এমনটা জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘প্রথমদিকে গাজীপুরের অবস্থা অনেক ভালো ছিল। হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করে আমরা অনেক ভালো রেখেছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয়বার গার্মেন্ট খুলে দেওয়ার পর শ্রমিকরা আসতে শুরু করলো তখন নারায়ণগঞ্জের একটি কারখানায় ২৫ জন করোনা শনাক্ত হলো। আমাদের জেলাটিও এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। আবার যদি শ্রমিকরা এভাবে আসা-যাওয়া করেন তাহলে বেগ পেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গাজীপুরে যারা ফ্যাক্টরিতে কাজ করছেন তাদের নিরাপদ রাখতে সুনির্দিষ্টভাবে আপনার দিক নির্দেশনা প্রয়োজন। আর গাজীপুরে অনেক ভাসমান মানুষ রয়েছেন। তাদের ঘরে রাখতে হলে অবশ্যই ত্রাণ সঠিকভাবে বিতরণ করতে হবে।’
গার্মেন্ট কারখানার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা থাকতে হবে। কিছু অসৎ ব্যবসায়ী সুযোগ নিচ্ছে অভিযোগ তুলে পুলিশ সুপার বলেন, ‘অনেক ব্যবসায়ীরা কিন্তু সুযোগ নিচ্ছেন। পিপিই বানানোর কথা বলে শ্রমিকদের ডেকে এনে অন্য পণ্য বানাচ্ছেন। তারা শ্রমিকদের ঠকাচ্ছে। কত প্রয়োজন হয় তাদের? বঙ্গবন্ধু যেমনটা বলেছিলেন আমার কৃষক আমার শ্রমিক তো চোর নয়। তারা তো কিছু চায় না। একমুঠো ভাতই তাদের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু যাদের আছে যারা শিক্ষিত…. তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক কিন্তু এখনও সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে।’