ত্রাণের চাল চুরি, আরো ৭ ইউপি চেয়ারম্যান ও ৩ সদস্য বরখাস্ত
বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (২৩ এপ্রিল ২০২০) : করোনা দূর্যোগে কর্মহীন মানুষদের মাঝ বিতরণের জন্য সরকারের দেয়া ত্রাণ চুরি ও অনিয়মের অভিযেগে আরও ৭ জন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ৩ সদস্যকে বরখাস্ত করেছ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্থানীয় সরকার বিভাগ আজ ২৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে এই দশজন জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করলো।
ত্রাণ চুরি ও অনিয়মের অভিযোগে এ নিয়ে বরখাস্ত হলো ৩৫ জনপ্রতিনিধি। তাদের মধ্যে ১৫ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ১৯ জন ইউপি সদস্য এবং একজন জেলা পরিষদ সদস্য। এদের অনেকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। একই অভিযোগে গতকাল সাত জন ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।
আজ সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ইউপি চেয়ারম্যানেরা হলেন- বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূরে আলম বেপারী, ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউপির মো. মিজানুর রহমান খান, পটুয়াখালীর সদর উপজেলার কমলাপুর ইউপির মো. মনির রহমান মৃধা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউপির শাহ আল শফি আনসারী, রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার যশাই ইউপির মো. সিদ্দিকুর রহমান মণ্ডল, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেড়লী ইউপির জারজিদ মোল্লা এবং কালিয়া উপজেলার জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন চৌধুরী।
আর সাময়িক বরখাস্ত হওয়া তিন ইউপি সদস্য হলেন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. রফিকুল ইসলাম, পটুয়াখালীর গলাচিপা ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মহিউদ্দিন সোহেল এবং একই উপজেলার কেশবপুর ইউপির সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোছা. লিপি বেগম।
সাময়িক বরখাস্ত করার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটের সময় তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারি ত্রাণের চাল আত্মসাৎ, জাটকা নিধনে বিরত থাকা জেলেদের জন্য সরকারের বরাদ্দ করা ভিজিএফ চাল আত্মসাৎ ও কালোবাজারে বিক্রি, সরকারি ত্রাণের চাল ভুয়া মাস্টাররোলে বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাৎ, সরকারি ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম, চাল নির্ধারিত পরিমাণে না দেওয়া এবং বিধিবহির্ভূতভাবে অন্যদের মাঝে বিতরণ ইত্যাদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।