শ্রীপুরে ফোর মার্ডার: ৪ বিষয় নিয়ে মাঠে পুলিশ
সাইফুর রহমান, সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসিনিউজবিডি, (শ্রীপুর) গাজীপুর (২৫ এপ্রিল ২০২০) : গাজীপুরের শ্রীপুরে নৃশংস মা ও তিন সন্তানকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় চার বিষয়ে ( ডাকাতির উদ্দেশ্য, জমিজমা, ব্যবসা, পারিবারিক বিরোধ) তদন্তে মাঠে নেমেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
এছাড়া ভাড়াটে খুনিদের ব্যবহার করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সেক্ষেত্রে একাধিক কারণও সামনে এসেছে। আর তারা ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা সেজন্য সিআইডির ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
২৪ এপ্রিল (শুক্রবার) সকালে কথা হয় গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ রাসেলের সঙ্গে। তিনি এবিসিনিউজবিডিকে বলেন, ‘ডাকাতির উদ্দেশ্য, জমিজমা, ব্যবসা, পারিবারিক বিরোধসহ আরও কিছু বিষয় নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। পুলিশের সঙ্গে গোয়েন্দারাও কাজ করছে। তবে এতটুকু প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে নৃসংশ এ হত্যাকাণ্ড ভাড়াটে খুনি দিয়ে করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে নেপথ্যে কারো ইন্ধনও আছে।’
নিহতের প্রাবাসী স্বামীর সঙ্গেও একাধিকবার কথা হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তিনি (কাজল) দীর্ঘদিন মালয়েশিয়া থাকেন। তবে গত জানুয়ারিতে দেশে আসেন। কয়েকদিন অবস্থান করার পর তিনি আবারও সে দেশে চলে যান। তার বা পরিবারের সঙ্গে কারো বিরোধ আছে তা বলতে পারেননি।’
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওপরের কারণগুলোর সঙ্গে আরেকটি কারণ ঘুরেফিরে আসছে। সেটি হলো ফাতেমা একটি স্কুটি চালাতেন। পশ্চিমা ধাচে চলাফেরা করতেন। এ বিষয়টিতে হয়তো কেউ ক্ষুব্ধ হতে পারেন। ক্ষুব্ধের বশীভূত হয়েও তাদের হত্যার পরিকল্পনা করতে পারে। তবে তারা যে ধর্ষণের শিখার হয়েছেন তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। এ কারণে নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। তারা রিপোর্ট দিলে এরপরই বিষয়টি পরিস্কার হবে। কেননা তাদের লাশ অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে ছিল। একই সঙ্গে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইলও জব্দ করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের আগে তারা মোবাইলে কারো সঙ্গে কথা বলেছিল কিনা, অথবা কোনও হুমকি ছিল কিনা সেজন্য কললিস্ট নিয়ে কাজ শুরু করেছে। আবার গাজীপুর জেলায় কে কে ভাড়াটে খুনি হিসেবে কাজ করে, তাদের বর্তমান অবস্থান কোথায় তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।