সচিবালয়সহ সরকারি অফিস সীমিত পরিসরে খুলেছে
বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (২৬ এপ্রিল ২০২০) : নিজস্ব প্রতিবেদক : জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত সচিবালয়ের বেশ কিছু মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সরকারি অফিস সীমিত পরিসরে খুলেছে। শুধু ১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খোলা রাখার আগের নির্দেশনা প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সিদ্ধান্তে জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্নিষ্ট সচিবালয়সহ সব সরকারি অফিস সীমিত পরিসরে চালু হয়।
সরকারি সাধারণ ছুটির মাঝে আাজ রোববার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে সচিবালয়ের বেশিরভাগ মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সরকারি অফিসে সীমিত পরিসওে কাজ শুরু হতে দেখা যায়। সকাল থেকে ঢিলে-ঢালাভাবে কর্মকর্তা কর্মচারিদেরও এসব কার্যালয়ে আসতে দেখা যায়।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় দফায় আগামী ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। অবশ্য ছুটির দ্বিতীয় দফার এই প্রজ্ঞাপনে শুধুমাত্র ১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খোলা রাখার বিষয় উল্লেখ করা হয়। পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে আজ নতুন সিদ্ধান্তঅনুযায়ি জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্নিষ্ট সচিবালয়সহ সব সরকারি অফিস সীমিত পরিসওে খোলা থাকার কথঅ জানানো হয়।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খোলা রাখায় নির্দেশনা দেয়ার পর ওই তালিকার বাইরে থাকা কোনো কোনো মন্ত্রণালয় আমাদের জানায়, তারাও সীমিত পরিসরে অফিস খোলা রেখে কাজ করছে। এখন আমরা কোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা সরকারি অফিসের নাম নির্দিষ্ট না করে দিয়ে বলছি, জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্নিষ্ট সব সরকারি অফিস এই ছুটির মধ্যে সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে।’
গত ২৬ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত নতুন করে ছুটির আদেশ জারির পর বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঐ অফিস আদেশে বলঅ হয়েছিলো – ‘এই ছুটির সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সীমিত পরিসওে খোলা থাকবে।’
আজ সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ অফিস করেছেন। এ সময় নিজ কার্যালয়ে তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস যাতে বেশি না ছড়ায়, সে জন্য সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু ইতিমধ্যে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এই ভাইরাস যাতে আরও না ছড়ায়, সে জন্য সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন।’
নিজ দফতরে অফিস করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া এবং গণমাধ্যম অনিয়মগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তুলে ধরায় এখন ত্রাণ নিয়ে অনিয়ম নিয়ন্ত্রণে আছে। গুটি কয়েক জনপ্রতিনিধি এই অপরাধে জড়িত ছিলেন।’ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, যা অন্যদের সচেতন করবে বলে মনে করেন তিনি।
অফিস করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও। তবে অফিস করেননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। দিনভর অনেক গনমাধ্যম কর্মী তার অপেক্ষায় থেকেও তাকে পাননি। তিনি বাইরে কাজে আছেন বলে জানানো হয় তার দফতর থেকে।