এ কোন নতুন চমক!
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ না, এটা কোন বিজ্ঞাপন নয়। বিরোধী দলের অপপ্রচার মোকাবিলা ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে সাধারণ মানুষকে ৩ দিনের মধ্যেই নতুন চমক দেখাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়। বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার কৌশল নির্ধারণে আওয়ামীপন্থী সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ চমকের কথা বলেন জয়। তবে যতটুকু বুঝা যায় এবার সাইনবোর্ড ব্যানার বা বিলবোর্ড দখলের চমক দেখাবেন না।
অনানুষ্ঠানিক এ মতবিনিময়সভায় আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের করণীয় ও কীভাবে জনসমর্থন পাওয়া যাবে ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন জয়।
জয় বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয় এনে দিতে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। আমি দলের পক্ষে নির্বাচনী ক্যাস্পেইন করতে দেশে এসেছি। এ সময় আমি বিরোধী দলের অপপ্রচার রোধসহ সরকারের সফলতা তুলে ধরার জন্য শতভাগ কাজ চালিয়ে যাব। তবে আপনারা আওয়ামী লীগের পক্ষে আগামীদিনে সঠিক কাভারেজ দেওয়ার চেষ্টা করবেন।’ এ সময় বিরোধী দলের অপপ্রচারের জবাব দিতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি শুক্রবার মসজিদে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
জয় বলেন, ‘প্রচারের জন্য অনেক পরিকল্পনা করা হয়েছে। ফেসবুকে যেমন আমার পেজ রয়েছে। ফেসবুকে আরও প্রচারের পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকল্পনা আছে ৩শ’ প্রার্থীর ৩শ’ ফেসবুকে পেজ থাকবে। এ জন্য একটি টিমও করা হয়েছে।’ জয় বলেন, ‘আমরা কারোর প্রতি কখনো ঔদ্ধত্য নই। ক্ষমতায় থাকলে দলীয় কর্মকাণ্ড ধীর হয়ে যায়। তবে সেটা এখন আর নেই।’
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের ব্যাপার বর্তমানে বাংলাদেশে দুটি দল তৈরি হয়েছে। যার একটি স্বাধীনতার পক্ষের অন্যটি বিপক্ষের। আমার মায়ের ধারণা ছিল কাজ করলে ভোট পাওয়া যাবে। কিন্তু আসলে সেটা নয়।’
একজন বিদেশি রাষ্ট্র প্রধানের উদাহরণ দিয়ে জয় বলেন, ‘তিনি আমাকে বলেছিলেন কাজ করেও ভোট পাওয়া যায় না। আবার কাজ না করেও ভোট পাওয়া যায়। এটা নির্ভর করে প্রচারের ওপর। সে জন্য আমরা প্রচারের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এদেশে রাজনীতি করা আসলে কষ্টের। এখানে দল ও পদবি না থাকলে কাজ করা যায় না।’
জয় বলেন, ‘বিরোধী দলে থাকলে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার অনেক সহজ হয়। সরকারের এতো উন্নয়ন করার পর নতুন করে উন্নয়নের কথা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষকে বোঝানো সহজ নয়। তবে মানুষের মধ্যে এ উন্নয়ন তুলে ধরতে হবে। তাহলে তারা তুলনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। কারণ আগামী নির্বাচনে ভোটারদের একজনকে না একজনকে বেছে নিতেই হবে।’
দলের নির্দিষ্ট মুখপাত্র না থাকার দুর্বলতার বিষয়ে জয় বলেন, ‘দলের অধিকাংশ নেতারা মন্ত্রী হয়ে গেছেন। এ জন্য তারা সময় পান না। বিএনপি এমন প্রচার করলেও আমাদের মন্ত্রীরা কেন দলীয় সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে লজ্জা পায়।’