এসএমই উদ্যোক্তাদের ক্ষতি পোষাতে জাতিসংঘের অনলাইন মার্কেটপ্লেস চালু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (১৩ মে ২০২০) : করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) উদ্যোক্তাদের জন্য অনলাইন মার্কেটপ্লেস-আনন্দমেলা চালু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এক হাজার ৪৫ জন এসএমই উদ্যোক্তা এই সাইটে তাদের পণ্যের বিবরণ দিয়েছেন। যা িি.িধহড়হফড়সবষধ.ংযড়ঢ় এই ওয়েবসাইটে ক্লিক করলেই জানা যাবে।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ মে) জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এটুআই প্রোগ্রামের আওতাধীন একশপের সহায়তায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চালু হয় আনন্দমেলা। পরে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।
পহেলা বৈশাখ বা ঈদের মতো উৎসবকে ঘিরে এই শিল্প উদ্যোক্তারা মূলত বড় ধরনের বিক্রয়ের প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু এ বছরের চিত্র উল্টো। করোনা মহামারির কারণে বাজারসমূহ বন্ধ থাকায় কারখানায় উৎপাদিত পণ্য ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর মাধ্যমে ক্রেতা ও বিক্রেতা অনলাইনে সরাসরি যোগাযোগের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের কেনাকাটা করতে পারবেন। এই উদ্যোগটি করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস এবং ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসায়ীদের বছরব্যাপী (করোনা উত্তর সময়সহ) উৎপাদিত ঈদপণ্য বিক্রয়ে সহায়তা করবে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, বাংলাদেশে প্রায় ৭০ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এসএমই ) রয়েছেন। যাদের সঙ্গে প্রায় আড়াই কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। সংক্রমণের পাঁচ মাসের মাথায় মহামারি করোনা সারাবিশ্বকে থমকে দিয়েছে। অধিকাংশ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ব্যবসা বন্ধের ঝুঁকিতে পড়েছেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে আনন্দমেলা ভার্চুয়াল ওয়েবসাইটটির উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, ‘এই মহামারি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ইউএনডিপিকে আমি এই উদ্যোগ গ্রহণ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এবং সরকারকে সাহায্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার ইতোমধ্যে সার্বিক প্রণোদনা প্যাকেজের অংশ হিসেবে ২০ হাজার কোটি টাকা ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা হিসেবে বরাদ্দ করেছে।’ আনন্দমেলা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিংয়ে সহায়তা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন স্পিকার।
জাতিসংঘের বাংলাদেশ আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সিপ্পো এ সময় বলেন, ‘আনন্দমেলার মাধ্যমে গ্রামীণ ও শহরের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য ডিজিটাল উপায়ে বিক্রি করার সুযোগ পাবেন। এই সংকটের সময়ে আশা করি, তারা আনন্দমেলার মাধ্যমে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবেন এবং আসন্ন ঈদে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না।‘ মহামারির এই অবস্থায় কাজের ধারাকে আমরা ‘নতুন স্বাভাবিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করতে পারি বলেও জানান মিয়া সিপ্পো।
এ প্রসঙ্গে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী বলেন, ‘এই উদ্যোগটির মূল লক্ষ্য হলো, এই পবিত্র মাসে অনানুষ্ঠানিক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কোভিড-১৯ সৃষ্ট চাপ মোকাবিলায় সহায়তা করা। সবাই যাতে সামাজিক সংহতি ও যতœ প্রদর্শনে বেশি মনোযোগী থাকে সেদিকেও আমাদের লক্ষ রয়েছে।’