ভাড়া করা লোক দিয়ে প্রকৌশলী দেলোয়ারকে হত্যা করেন তাঁর সহকর্মী
সাইফুর রহমান, সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (২২ মে ২০২০) : গত ১১ মে মিরপুরের বাসা থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় ভাড়া করা মাইক্রোবাসে নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে তাঁর সহকর্মী (সহকারী প্রকৌশলী) আনিছুর রহমান ওরফে সেলিম ও আনিছুরের দুই সহযোগী শাহিন ছিলেন। হাবিব মাইক্রোবাস চালাচ্ছিলেন। মাইক্রোবাসটি রূপনগর দিয়ে বেড়িবাঁধে ওঠার পর আনিছুর রহমানের ইশারায় শাহিন প্রকৌশলী দেলোয়ারের গলায় রশি পেঁচিয়ে টান দেন। তখন আনিছুরও চেপে ধরেন দেলোয়ারকে। এরপর দেলোয়ার নিস্তেজ হয়ে পড়লে মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাকে পেটানো হয়। পরে দেলোয়ারের লাশ উত্তরার ১৭ নম্বর সেক্টরের খালি প্লটে ফেলে দেওয়া হয়।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেনকে হত্যায় গ্রেপ্তারের পর ভাড়াটে খুনি শাহিন ও মাইক্রোবাসের চালক হাবিব এভাবে পুলিশের কাছে ও আদালতে হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দেন বলে মামলার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গত বুধবার আনিছুরকে মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মিরপুর থেকে শাহিন ও বাড্ডার নদ্দা এলাকা থেকে হাবিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল তিনজনকে আদালতে হাজির করা হলে শাহিন ও হাবিব আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আর আনিছুরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় তুরাগ থানার পুলিশ।
গত ১১ মে সকালে মিরপুর ১ নম্বরের বাসা থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর থেকে তাঁর খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। ওই দিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উত্তরার ১৭ নম্বর ৫ নম্বর ব্রিজের পশ্চিম দিকের একটি জঙ্গল থেকে দেলোয়ারের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী খোদেজা বেগম তুরাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।