গভর্নর পদের মেয়াদ বৃদ্ধিতে সংশোধন হচ্ছে আইন

বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (২৩ মে ২০২০) : গভর্নর পদের মেয়াদ বৃদ্ধিতে সংশোধন করা হচ্ছে বিদ্যমান আইন। এতে করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের মেয়াদও বৃদ্ধি হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের সবুজ সংকেতও রয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও সংশোধনের বিষয়টি দেশের ইতিহাসে প্রথম ঘটনা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে টেনে তোলার মূল দায়িত্ব পড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর। নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিজ দায়িত্ব পালনের চেষ্টাও করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ অবস্থায় গভর্নরের মতো নীতিনির্ধারণী ও গুরুত্বপূর্ণ পদে পরিবর্তন আনার ঝুঁকি নিতে চাইছে না সরকার। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের চাকরির ৬৭ বছরের বয়সসীমাকে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশে গভর্নর পদে নিয়োজিত ব্যক্তির বয়সসীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও প্রতিবেশী কোনও দেশে এমনটি নেই। এমনকি বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোতেও গভর্নর পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়নি। তবে প্রচলিত আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬৫ বছর। সে হিসেবে বর্তমান গভর্নর ফজলে কবিরের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩ জুলাই।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বয়সের সীমারেখা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে একটি সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেছে। অর্থমন্ত্রী গত সোমবার (১৮ মে) তা অনুমোদন করেছেন। পরদিন ১৯ মে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ তা উপস্থাপন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে।

প্রসঙ্গত, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান পদত্যাগ করলে তার পরদিন ফজলে কবিরকে চার বছরের জন্য গভর্নর নিয়োগ দেয় সরকার। পরে ফজলে কবিরের মেয়াদ ৩ মাস ১৩ দিন বাড়ানো হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন গভর্নর ছিলেন এম নুরুল ইসলাম। ১৯৭৬ সালের ১৩ জুলাই থেকে ১৯৮৭ সালের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১১ বছর গভর্নর ছিলেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রায় সাত বছর গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ড. আতিউর রহমান।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ