একতরফা নির্বাচন ঠেকাবই
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সরকারের ‘একতরফা নির্বাচনের চেষ্টা’ ঠেকাতে নেতাকর্মীদের সব বিভক্তি দূর করে ‘ইস্পাতকঠিন ঐক্য’ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “সরকারের উদ্দেশ্য বিএনপিকে বাদ দিয়ে একতরফা নির্বাচন করা। এটা হতে দেয়া হবে না।”
২৪ অক্টোবর নবম সংসদের অধিবেশন শেষ হওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের হাতে আর সময় নেই। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতেও তারা রাজি নয়।
“আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকারকে সরাতে হবে। নইলে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।”
নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে ‘গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা’ বিপন্ন হবে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফেরানোর দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসা বিএনপির নেতা ফখরুল বলেন, “নির্দলীয় সরকারের দাবির আন্দোলনে সব গণতান্ত্রিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথে সংগ্রামে নামতে হবে। এ সময়ে দলের ভেতরে কোনো বিভক্তি রাখা চলবে না। আন্দোলনে সফলতা অর্জনে আমাদের ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।”
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের একটি অংশ ইদানিং প্রকাশ্যেই দলের ভেতরে ‘চক্রান্তকারী’ থাকার কথা বলে আসছেন। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস একাধিক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ের মতো এবারো বিএনপির ভেতর থেকে ‘ষড়যন্ত্র’ হতে পারে।
নয়া পল্টনে হোটেল ভিক্টরির সম্মেলন কক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় দলে ও জোটে ঐক্যের ওপর জোর দেন মির্জা ফখরুল।
মহিলা দলের নেতা-কর্মীদের আন্দোলনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের সামনে কঠিন সময়। আর মাত্র কয়েক সাপ্তাহ বাকি। এই দুঃশাসক আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবো না।”
এ লক্ষ্যে মহিলা দলের নেতাদের প্রতিটি মহল্লায় কমিটি গঠন ও জেলায় জেলায় সফর করে সংগঠনকে শক্তিশালী করার পরামর্শ দেন তিনি।
১৯৭৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী মহিলা দল প্রতিষ্ঠা করেন।
সংগঠনের সভাপতি নুরী আরা সাফা‘র সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালাম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক খালেদা রাব্বানী, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, কেন্দ্রীয় নেতা রাবেয়া সিরাজ, নুরজাহান ইয়াসমীন, নুর জাহান মাহবুব, হালিমা আলী, ইয়াসমীন আরা হক, সুলতানা আহমেদ, লায়লা ইয়াসমীন, ফরিদা ইয়াসমীন, রাশেদা বেগম মুক্তা, নুরুন্নাহার বেগম, সাবিনা ইয়াসমীন, মিলি জাকারিয়া, তাহমিনা শাহিন, নিলুফার ইয়াসমীন আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিলকিস ইসলাম।