লকডাউনে যেভাবে থাইল্যান্ড গেল সিকদার-পুত্ররা
সাইফুর রহমান, সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (৩০ মে ২০২০) : এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নির্যাতন ও ঋণ দিতে চাপ দেয়ার ঘটনায় হওয়া মামলার আসামি সিকদার গ্রুপের এমডি রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদার বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আরোপিত বিধিনিষেধের মধ্যেই গত ২৫ মে সিকদার গ্রুপের মালিকানাধীন একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দুই ভাই থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হন। গত ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে।
লকডাউনের কড়াকড়ির মধ্যেই রাতারাতি কিভাবে এই দুই ভাই বিদেশে পাড়ি দিলেন সেটি নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। থাইল্যান্ডে সিকদার গ্রুপের কেওআই রেস্তোঁরা লিমিটেড এবং আর অ্যান্ডআর রেস্তোঁরা গ্রুপ লিমিটেড নামে দুইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে পরিবর্তন ডটকমের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ মে সকাল ৯টা ১৩ মিনিটের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
সূত্র জানায়, ওই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিকদার গ্রুপের সিস্টার কনসার্ন আরঅ্যান্ডআর অ্যাভিয়েশন লিমিটেডের মালিকানাধীন। আর তাতে থাকা দুই ‘মুমূর্ষু রোগী’ হলেন- সিকদার গ্রুপের এমডি রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদার।
গত ২৫ মে দুই জন যাত্রী নিয়ে যে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে, সেটি গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল-আহসান। তবে ওই দুই যাত্রীর পরিচয় জানতে চাইলে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
এদিকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এ ব্যাপারে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানায় ইমিগ্রেশন ডেস্ক।