সারাদেশে নামছে যৌথবাহিনী
ঢাকা: জামায়াত-শিবিরের দেশব্যাপী নাশকতা প্রতিহত করতে যৌথবাহিনী গঠন করে সারাদেশে সাঁড়াশি অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছে সরকার। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের নিয়ে এ বাহিনী গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার অথবা বুধবারের মধ্যেই এ বাহিনী মাঠে নামছে।
তবে এই বাহিনীতে সেনাবাহিনীর সদস্যদের নেয়ার ব্যাপারে মতোপার্থক্য থাকায় এখনি তাদের রাখা হচ্ছে না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, নতুন এ বাহিনীর সদস্য সংখ্যা থাকবে কয়েক হাজারের মধ্যেই থাকছে । ইতোমধ্যে চৌকস সদস্যদের বাছাই করা হয়েছে। সকল সদস্যদের দেয়া হবে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। এছাড়াও সচিবালয়সহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় জামায়াত-শিবিরের হামলার আশঙ্কায় নিরাপত্তা জোরদার করতে রাজধানী ঢাকার সবগুলো প্রবেশ পথে বসানো হচ্ছে কঠোর পাহাড়া।
অন্যদিকে, ঢাকার বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে প্রত্যেক উপজেলায় নতুন করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার জনগণকে নিয়ে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গড়ে তোলার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, “সারাদেশে বিএনপি ও জামায়াত যে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে এতে করে সাধারণ মানুষের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে। এজন্য আমরা যৌথবাহিনী নামানোর পদক্ষেপ নিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যা যা করার প্রয়োজন এ বাহিনী তা করবে। তবে এ বাহিনী সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়েই কাজ করবে।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত আটক জামায়াত নেতাদের মুক্ত, বিচার বানচাল ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে জামায়াত-শিবির তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে। যেকোনোভাবে বিশৃঙ্খলা রোধ করে আইনশৃঙ্খলা উন্নত করাই হবে যৌথবাহিনীর প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র জানায়, জামায়াত-শিবিরের সহিংসতা শান্ত হলে যৌথ বাহিনী মাঠে থাকবে না। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বগুড়া অঞ্চলে বেশি অপারেশন চালানোর কথা রয়েছে যৌথবাহিনীর। ইতোমধ্যে তাদের নানা দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ বাহিনী প্রথমে প্রতিটি জেলার প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় করে তাদের দিয়ে একটি তালিকা তৈরি করবে। এরপর ওই তালিকা হাতে নিয়ে মাঠে নামবে।
যৌথবাহিনীর কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।