প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা : যেভাবে গ্রেফতার হলেন সাহেদ
জেলা প্রতিবেদক (সাতক্ষীরা), এবিসিনিউজবিডি (১৬ জুলাই ২০২০) : সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম। তিনি একজন হোটেল ব্যবসায়ী। ফজরের নামাজের জন্য গিয়েছিলেন মসজিদে। নামাজ শেষ হওয়ার পরপরই তাদের কানে চিৎকার ভেসে আসতে থাকে। শুরু হয় হইচই। ঘটনা কী দেখার জন্য দৌড়ে যান সবাই। গিয়ে যা দেখলেন সেটি তারা কল্পনাও করেননি আগে। সারাদেশের আলোচিত প্রতারক সাহেদ করিমকে ধরে ফেলেছে র্যাব।
দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর বেইলি ব্রিজের পাশে নর্দমার মধ্যে থেকে বোরকা পরা অবস্থায় সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে কোমরপুর গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা যখন নামাজ শেষ করেছি সেই মুহূর্তেই তিনটি র্যাবের গাড়ি খুব গতিতে চলে গেল। ২-৩ মিনিট পরই আওয়াজ আসতে লাগলো আল্লাহু আকবার, ধরে ফেলেছি, ধরে ফেলেছি। আমিসহ মসজিদের মুসল্লি ও এলাকার বাসিন্দারা দৌড়ে ঘটনাস্থলে আসি কী ঘটেছে দেখার জন্য। গিয়ে দেখি বর্তমানের আলোচিত প্রতারক সাহেদ করিমকে ধরে ফেলেছে র্যাব। হাতে হাতকড়া পরাচ্ছে তখন। কাছে একটি পিস্তলও পেয়েছে।
তিনি ওই ব্রিজের পাশে একটি ছোট ড্রেন দেখিয়ে বলেন, ওইখানে একটি নর্দমার মতো রয়েছে। সেই ড্রেনের ভেতরে বোরকা পরে শুয়ে ছিলেন প্রতারক সাহেদ। শোয়া অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তার পরনে শার্ট, প্যান্ট ও বোরকা ছিল। কোমরে ছিল একটি পিস্তল। পরে র্যাব উপস্থিত জনতার সঙ্গে কথা বলে ও ছবি তুলে তাকে এখান থেকে নিয়ে যায়।
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী বুধবার সকাল ৯টার দিকে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ঢাকায় এসে পৌঁছেছে।