পুলিশ সদস্যদের করোনার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ মিরপুরের ডিসির

বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (১৮ জুলাই ২০২০) : করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে মিরপুর বিভাগের পুলিশ সদস্যদের সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিরপুরের উপ-পুলিশ কমিশনার মোস্তাক আহমেদ। তিনি মিরপুর বিভাগের পুলিশ সদস্যদের মাদকে সম্পৃক্তার বিষয়ে কঠোর হুসিয়ারী প্রদান করে বলেছেন, কোন সদস্য যদি মাদক সেবন বা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জড়িত থাকেন তাকে ছাড় দেওয়া হইবে না।

আজ শনিবার (১৮ জুলাই) মিরপুরের দারুস সালামের আল-ওয়াফী কনভেনশন সেন্টারে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে পুলিশ সদস্যদের করনীয়-বর্জনীয় এবং দ্বিতীয় সেশনে মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের করোনা টিমের কনসালটেন্ট ডা. মো. সালাউদ্দিন মোল্লা। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সিনিয়ার সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মিজানুর রহমান (দারুস সালাম জোন)। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিরপুরের সকল অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, জোনাল সহকারী পুলিশ কমিশনার, অফিসার ইনচার্জ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত), পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) সহ সব থানার বিভিন্ন পর্যায়ে পুলিশ সদস্যগণ।

করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে মিরপুর বিভাগের পুলিশ সদস্যদের সচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে উপ-পুলিশ কমিশনার মোস্তাক আহমেদ বলেন, করনাকালীন সময়ে পুলিশ সদস্যদের করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) থেকে বাঁচার জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করাসহ ডিউটি কালীন সময়ে পুলিশ ভ্যান ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। খাওয়ার সময় এবং চোখে মুখ ও নাকে হাত দেওয়ার পূর্বে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে উত্তমরুপে হাত ধুতে হবে। কেননা করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) শুধুমাত্র চোখ নাক মুখ দ্বারাই শরীরে প্রবেশ করে ফুসফুসকে আক্রান্ত করে।
ধূমপানকারীদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বিধায় ধূমপায়ীদের করোনাকালীন সময়ে ধূমপান হতে বিরত থাকার পরামর্শ দেন অনুষ্ঠানের আলোচক ডা. মো. সালাউদ্দিন মোল্লা। তিনি পুলিশদের ডিউটি শেষে বাসায় প্রবেশকালে সতর্কতার সাথে বাসায় প্রবেশ করতে হবে। যাতে বাসায় অবস্থানরত শিশু বা বৃদ্ধরা প্রাথমিকভাবে সংস্পর্শে না আসে। শারীরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য কমপক্ষে প্রতিদিন ৩০ মিনিট শারীরিক ব্যয়াম ও পরিশ্রম করার পরমর্শ দেন আলোচক।

দ্বিতীয় সেশনে মিরপুরের উপ-পুলিশ কমিশনার মোস্তাক আহমেদ মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে মিরপুর বিভাগের পুলিশ সদস্যদের মাদকে সম্পৃক্তার বিষয়ে কঠোর হুসিয়ারী প্রদান করেন। যদি কোন পুলিশ সদস্য মাদকে আসক্ত থাকে, তবে ডিসির (মিরপর বিভাগ) নিকট আত্মসমার্পনের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, বিনা খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। যদি কোন পুলিশ সদস্য মাদাকাসক্তের সংবাদ পাওয়া যায় তবে যে কোন সময় ডোপ টেষ্টের মাধ্যমে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দ্বারা ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা হবে। আর যদি কোন পুলিশ সদস্য মাদক ব্যবসায়ীর সাথে আর্থিক বা অন্য কোন ভাবে সম্পৃক্ত থাকে তবে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে কোন ছাড় দেয়া হবে না বলেও হুশিয়ারী দেন মোস্তাক আহমেদ।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ