পদ্মা পারের অপেক্ষায় ৮ শতাধিক গাড়ি, মহাসড়কে যানজট
প্রতিবেদক (মনিকগঞ্জ), এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (৯ আগস্ট ২০২০) : ঈদের ছুটি শেষে আজও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যেতে কর্মমুখী মানুষ ও যানবাহনের চাপ দেখা গেছে দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চ ঘাটে। দৌলতদিয়ায়-পাটুরিয়া নৌরুটে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি পারাপার ব্যহত হচ্ছে। এতে আগের চাইতে দ্বিগুণেরও বেশি সময় লাগছে ফেরি পার হতে।
এদিকে দৌলতদিয়ায় রয়েছে ফেরি ও ঘাট সংকট। ৬টি ঘাটের ৪টি ঘাট দিয়ে ফেরি পারাপার করা হচ্ছে, ফেরি চলছে ১৬টি। এ দুই সংকটেও দৌলতদিয়া প্রান্তে ও গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় মহাসড়কে ৭ থেকে ৮শ যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় যানজটে থাকতে দেখা গেছে। তবে প্রতিদিনের মত বেলা যত গড়িয়ে যাবে যানবাহনের সংখ্যাও তত বাড়বে বলে জানান ঘাট কর্তৃপক্ষ।
গতকাল দৌলতদিয়া ঘাটে আসা যানবাহনও ফেরি পার হতে দেখা গেছে আজকে। তবে ফেরি ও লঞ্চ ঘাটগুলোতে সামাজিক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কাউকেই দেখা যায়নি। চলাচল দেখে মনে হচ্ছে করোনা নামক কোন মহামারি এসব অঞ্চলে নেই।করোনাসহ স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।
এদিকে ঘাটে অনিয়ম রোধে চালক ও যাত্রীদের জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিভিন্ন অংকে জরিমানা করেছেন, মামলা দায়ের করা হয়েছে ১০টি। যাত্রীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ প্রশাসনও কাজ করছে ঘাট এলাকায়।
ঈদের পর ১৯টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হলেও আজ রোববার ১৬টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ফেরির সংখ্যা কম ও ঘাট সংকট এবং তীব্র স্রোতের কারণে যানজট লেগেই থাকছে দৌলতদিয়া প্রান্তের ঘাটগুলোতে।
এ কয়দিনের চাইতে আজ বেশে যানবাহন দেখা গেছে মহসড়কে। তবে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে ঈদে কর্মমুখী মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় এ যানজট তৈরি হয়েছে। এতে এ রুটে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহন চালকদের নদী পার হতে সময় লাগছে ৬ থেকে ১০ ঘণ্টারও বেশি। দীর্ঘ সময় বসে থেকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।
রোববার সকাল থেকে দৌলতদিয়া প্রান্তে ঢাকামুখী যানবাহনের মধ্যে যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসের চাপ ছিল সবচেয়ে বেশি। চাপ রয়েছে মোটরসাইকেল আরোহীদেরও। তবে গণপরিবহনগুলোকে আগে ফেরি পার হতে দেয়া হচ্ছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান বলেন, কর্মমুখী মানুষদের যাত্রা নিরাপদ করতে তারা দৌলতদিয়া ঘাটে কাজ করছেন। যানবাহনগুলো ফেরি পারাপারে তারা বিভিন্ন রুট ব্যবহার করছেন।