২৮ কর্মকর্তাকে জেলা মৎস্য অফিসার সমমানের পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন হাতে তুলে দিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা: মৎস্য অধিদপ্তরের ৫ম গ্রেডে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত ২৮ জন কর্মকর্তার হাতে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন তুলে দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
মঙ্গলবার (০৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রমনাস্থ মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন তুলে দেন মন্ত্রী।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু দূরদৃষ্টি দিয়ে বলেছিলেন দেশের দ্বিতীয় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত হবে মৎস্য। দেশ পুনর্গঠনের সময়েই বঙ্গবন্ধু ভেবেছিলেন মাছ এবং প্রাণিসম্পদ আমাদের অমূল্য সম্পদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৎস্য সেক্টরকে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তনের জায়গায় নিয়ে এসেছেন। সে পরিবর্তনের যোদ্ধা আপনারা। মাঠের কর্মকর্তাদের কাছে প্রত্যাশা, আপনারা পবিত্রতার সাথে পেশাকে মনে-প্রাণে গ্রহণ করবেন। সততা, আন্তরিকতা ও একাগ্রতার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন।”
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরোও বলেন, “এ দেশের সতেরো কোটি মানুষের ট্যাক্সের টাকায় আপনাদের বেতন-ভাতা দেয়া হয়, মর্যাদা দেয়া হয়। এর প্রতিদান দেয়া আপনাদের পবিত্র দায়িত্ব। সততা ও সৃজনশীলতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালনের মধ্যেই জীবনের সাফল্য নিহিত।”
এ সময় প্রধান অতিথি আরো যোগ করেন, “স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালনের প্রতিযোগিতা করবেন। অনৈতিক উপায়ে অর্থ উপার্জনের দিকে ধাবিত হবেন না। ঐকান্তিক ইচ্ছা, নিরলস প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় ও গভীর মনোনিবেশ জীবনে অনুসরণ করলে সাফল্য হাতের মুঠোয় আসতে বাধ্য। নিজেই নিজের আত্মসমালোচনা করতে হবে যে, আমি কতটা আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করছি, দায়িত্ব পালনে কতটুকু নিজেকে উৎসর্গ করেছি। রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে। মানবিক সত্তা ও সুকুমার বৃত্তিকে ধারণ করতে হবে।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব বলেন, “মৎস্য সেক্টরে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে আপনাদেরকে যথাযথ দৃষ্টি দিতে হবে। বিশেষ করে পুনরুদ্ধারকৃত দেশীয় মাছের জাত ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্প্রসারণ করতে হবে। মাছের অভয়াশ্রম প্রতিনিয়ত পরিদর্শন করতে হবে। দেশের প্রতি যে ঋণ, তা শোধ করতে হবে।”
উল্লেখ্য, সোমবার (০৭ সেপ্টম্বর) মৎস্য অধিদপ্তরের ২৮ জন কর্মকর্তাকে ৫ম গ্রেডে পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
পদোন্নতি প্রাপ্তরা হলেন, বি এম মোস্তফা কামাল, সুলতানা লায়লা তাসনীম,অভিজিৎ শীল, মোঃ আসাদুজ্জামান, মোঃ ফয়সাল আযম, এলিজ ফারজানা, ড. মোঃ জুবায়দুল আলম, এইচ এম বদরুজ্জামান, মোহাম্মাদ, ইকবাল হোসেন, মোঃ তৌফিকুল ইসলাম, মোঃ আনোয়ার কবীর, বিশ্বজিৎ কুমার দেব, মোঃ শামশুল করিম, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, মোঃ মাহবুবুর রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান কবীর, লায়লা আক্তার, শবনম মোস্তারী, মোঃ শাহীনুর রহমান, মোঃ গোলাম মেহেদী হাসান, মোঃ ফরহাদুর রেজা, ফারহানা আহমেদ, আয়েশা সিদ্দিকা, প্রশান্ত কুমার সরকার, মোঃ জিল্লুর রহমান।