পিরোজপুরের উন্নয়ন নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বজ্রকন্ঠ

পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি,এবিসি নিউজ বিডি ঢাকাঃ
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিক ক্ষমতায় সারাদেশের বিস্তর উন্নয়ন হলেও, পিরোজপুর ছিল মূল উন্নয়নবঞ্চিত একটি বিচ্ছিন্ন জনপদ। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক, কূটনৈতিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধান অভিবাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজর এড়ায়নি এই উন্নয়ন বঞ্চিত এলাকাটির। সে সমস্যা নিরসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিখ্যাত আইনজীবী নেতা শ ম রেজাউল করিম কে। নেত্রী যেভাবে চিন্তা করেছেন বাস্তবায়নও প্রায় সেভাবে হয়েছে। উন্নয়ন বঞ্চিত পিরোজপুর কে মাত্র দুই বছরের মধ্যেই মূল অর্থনীতিতে যুক্ত করেছেন নতুন এ সংসদ সদস্য ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য শ ম রেজাউল করিম।

১৩ অক্টোবর (সোমবার) পিরোজপুর বাস টার্মিনালে, জাতীয় জাতীয় শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে সমবেতদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন পিরিজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জুনায়েদ আহমেদ রাসেল।

জুনায়েদ রাসেল বলেন, আজকের বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার রোল মডেলে পরিণত হয়েছে বিশ্বের বুকে। সেজন্য শ্রদ্ধাভরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রহমানের প্রতি। কারণ তিনি যদি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন না দেখতেন, তাহলে আজকে আমরা এই স্বাধীন ভূখণ্ডে স্বাধীনভাবে উন্নয়নের পতাকা তুলতে পারতাম না। জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করে উন্নয়নের সমৃদ্ধির পথে উঠিয়ে দিয়ে গেছেন। আর, তারই সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী পরিকল্পনা ও সাহসী নেতৃত্বে তা বাস্তবায়িত হয়েছে এবং হচ্ছে। যার জলজ্যান্ত প্রমাণ আমরা দক্ষিণাঞ্চলবাসী। যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতায় ভোগা চরম অবহেলায় দক্ষিণাঞ্চলবাসী ভাগ্য পরিবর্তনে আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মহাপরিকল্পনা গ্রহন করে কর্মযজ্ঞ শুরু করেছিলেন। বিশ্ববাসীর সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে সেই উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন। যে প্রকল্পগুল আজ বাস্তবেই মাথা উঁচু করে দারিয়ে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে।

এ চ্যালেঞ্জ বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের অভিভাবক প্রিয় নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়েছিল আমাদের দক্ষিণ অঞ্চলবাসির ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য।

আগামী পিরোজপুর পৌরসভার নির্বাচনেও শ ম রেজাউল করিমের মত ক্লিন ইমেজের সৎ ও নিষ্ঠাবান আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী হিসেবে পৌরবাসী জসিম উদ্দিন খান কে মেয়র হিসেবে দেখতে চায় বলেও উল্লেখ করেন সাবেক এ ছাত্রনেতা।

রাসেলের এসব বক্তব্যে উপস্থিত নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলে স্লোগান দিতে থাকেন।

জুনায়েদ রাসেল বিগত জোট সরকারের দক্ষিণ অঞ্চলের উন্নয়নের উদাসীনতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ” বিএনপি জোট সরকারের সময়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী মংলা বন্দর আজ সমৃদ্ধির পথে এবং নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল ও অর্থনৈতিকভাবে সাথে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে দক্ষিণ অঞ্চলে আরেকটি বন্দর করা হয়েছে, পায়রা সমুদ্র বন্দর নামে।

শিল্প কৃষি শিল্পের সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য নির্মিত হয়েছে একাধিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, হয়েছে জাহাজ নির্মাণ শিল্প, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, সেনানিবাস, পর্যটন জোন, কৃষি ও মৎস্য সংরক্ষণ শিল্প, সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে বাংলাদেশ নৌবাহিনী নৌঘাঁটি স্থাপিত হচ্ছে। এসব কিছুই সম্পন্ন হয়েছে বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন দুই মেয়াদের ক্ষমতায়।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের পিরোজপুরে আশপাশে উন্নয়নের জোয়ার বইলেও তার ছিটেফোঁটাও লাগেনি এই ঐতিহ্যবাহী জনপদে/ পিরোজপুর ১আসনে। যে কারণেই এই ক্ষুদ্র বিষয়টিও নজর এড়ায়নি বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাদের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার। তাই তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এলাকার নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়নের জন্য মনোনয়ন দেন এক-এগারোর পরীক্ষিত রাজনৈতিক শেখ হাসিনার সৈনিক, সৎ – যোগ্য আদর্শবান নেতা, জননেতা শ ম রেজাউল করিম কে। প্রিয় নেত্রী যে ভাবে চিন্তা করেছেন, ঠিক নির্বাচিত হওয়ার মাত্র দেড় বছরেই পিরোজপুর -১ আসন সহ গোটা পিরোজপুর জেলায় গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন, স্কুল কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসা , মন্দির , সড়ক মহাসড়ক , ফেরী , ব্রীজ কালভার্ট , হাউজিং প্রকল্প, বিশ্ববিদ্যালয় , অর্থনৈতিক জোন স্থাপন সহ বহুমুখী উন্নয়নের মাধ্যমে পিরোজপুর জেলাকে উন্নয়নের মহাসড়কে যুক্ত করেছেন আমাদের নেতা জনাব শ ম রেজাউর করিম এমপি।

তার আদর্শবান নেতৃত্তের কারণে বিভিন্ন অঙ্গন থেকে বন্ধ হয়েছে চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড।

তিনি তার একক যোগ্যতায় সেই ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে কৈশোর যৌবন সবি উৎসর্গ করেছেন প্রিয় দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে। তার সততা ও দলের প্রতি নিষ্ঠার প্রমাণ পেয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শীর্ষ অভিভাবক প্রিয় নেত্রী, বাংলাদেশের অবহেলিত মানুষের অভিভাবক, জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজেই।

আমাদের সুযোগ হয়েছে একজন আদর্শবান সৎ যোগ্য শিক্ষিত রাজনীতিবিদের সাথে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকার। আমাদের নেত্রীর উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নেতা রেজা ভাইয়ের পাশে শক্তভাবে অবস্থান নিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে, ইনশ আল্লাহ!

নেত্রীর কল্যাণে আমরা এই জেলায় একজন মন্ত্রী পেয়েছি। তাই সবার উচিৎ তাকে সাহায্য করে এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখা। যানিনা শ ম রেজাউল করিমের পরে কত বছরে একজন মন্ত্রী পেতে পারি। এই পদ্মার এপার থেকে শুরু করে বঙ্গোপসাগরের শেষ সীমানা পর্যন্ত একমাত্র বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী আমার নেতা জনাব শ ম রেজাউল করিম এম পি।

তাই যারা বিরোধ সৃষ্টির জন্য বসে আছেন, তাদের আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা সমাজের গুণীদের মূল্যায়ন দিতে অভ্যাস করেন। তাহলে গুণী মানুষের সৃষ্টি হবে। ভালো কাজে অহংকার ছেড়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। এলাকার উন্নয়ন হবে, মানুষের জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তন হবে। সামগ্রিক ভাবে দেশ এগিয়ে যাবে। শক্ত হবে দেশের অর্থনীতি। বাস্তবায়িত হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা।

উক্ত সভায় পিরোজপুর জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি বাদশা মোল্লার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাবলু হালদার সাধারণ সম্পাদক পিরোজপুর বাস মিনিবাস মালিক সমিতি। বিশেষ অতিথি হিসেবে, চান সিকদার সভাপতি বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদ
পিরোজপুর জেলা শাখা। বিশেষ অতিথি গোপাল বসু পিরোজপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। সভার প্রধান বক্তা ছিলেন, মোঃ আলমগীর হোসেন, পিরোজপুর জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক। বিশেষ বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন মোঃ রাসেল শিকদার পিরোজপুর জেলা বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ