পাপিয়া দম্পতির ২০ বছর কারাদণ্ড
বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (১৩ অক্টোবর ২০২০) : নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনকে অস্ত্র মামলার ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন। আলোচিত এই দম্পতির বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত যে চারটি মামলা হয়েছে, তার মধ্যে অস্ত্র আইনের এই মামলাতেই সবার আগে রায় এলো।
এর মধ্যে অস্ত্র আইনের ১৯ এর ‘এ’ ধরায় অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে পাপিয়া ও সুমনকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর ১৯ এর ‘এফ’ ধারায় অবৈধভাবে গুলি রাখার দায়ে দেওয়া হয়েছে ৭ বছরের কারাদণ্ড। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে বলে এই দম্পতিকে মোট ২০ বছেরের সাজাই খাটতে হবে।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করতে পেরেছি। যাবজ্জীবন হলে ভালো হতো।
পাপিয়ার দম্পতির আইনজীবী শাখাওয়াত উল্যাহ ভূঞা বলেন, আমরা শুরু থেকে দাবি করে আসছি, এটা একটা সাজানো মামলা। হয়রানি করার জন্য তাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার দেখানো হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। উচ্চ আদালতে আপিল করব। আশা করছি, তারা খালাস পাবেন।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। এদিন আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি দেশ ছেড়ে যাওয়ার সময় ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুই সহযোগীসহ পাপিয়া ও তার স্বামীকে আটক করে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা ও দুটি ডেবিট কার্ড জব্দ করে।
পরে পাপিয়ার ফার্মগেটের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধার করে র্যাব।
এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অস্ত্র ও একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় মোট ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।