এডাব্লিউআরের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ, থানায় জিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (২৫ ডিসেম্বর) : বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়েও সেই নারীকে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে বনানীর এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। বিষয়টিতে আতঙ্কিত ঐ নারী তার পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে ডিএমপির বনানী থানায় সাধারণ ডাইরি করেছেন।
জানা গেছে, বনানীর ব্যবসায়ী এবং এডাব্লিউআর নামে একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জহির প্রথম স্ত্রী থাকার তথ্য গোপন করে টেলিভিশন চ্যানেলের এক সময়ের জনপ্রিয় সংবাদ পাঠিকা (নিউজ প্রেজেন্টার) ও উপস্থাপিকা এক নারীকে বিয়ে করেন প্রায় দু’বছর আগে। বিয়ের পর প্রথম বছরটি তাদের ভলো কাটলেও চলতি বছরটিতে শুরু হয় নানা টানাপোড়েন। আর শেষ-মেষ গত ১৪ নভেম্বর তাদের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটান জহির। দু’দিন পরে তা প্রত্যাহার করে আবার ১৭ নভেম্বর তালাক পত্রে স্বাক্ষর করেন তিনি। তার দেয়া তালাকের বিষয়ে কিছুটা বিচলিত হলেও তা মেনে নিয়েই নিজে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করেন আইন বিভাগে পড়–য়া মেধাবী ঐ নারী। তবে অভিযোগ রয়েছে, এসব করেও থেমে থাকেননি ব্যবসায়ী জহির। তিনি নানা সময়ে তার সাবেক এই স্ত্রীকে অনুসরণ করা ছাড়াও নানা সময়ে হুমকি ও ভয়ভিতি অব্যাহত রাখেন। বনানীর বাসভবনের সামনে অবাঞ্চিত লোকজনের আনাগোনাও শুরু হয়। এতে করে ঐ নারী তার পরিবার নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। উপায়োন্ত না পেয়ে তিনি গত ২২ ডিসেম্বর বনানী থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন (জিডি-১৩৭৪)।
জানা গেছে, ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান এডাব্লিউআরে কর্মরত জহুরুল ইসলাম জহিরের আলাদা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বনানীতেই। ‘ফোর জেড ইন্টারন্যাশনাল’ নামে তার এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেও এডাব্লিউআরের কোন পদে তিনি কর্মরত, তা এই প্রতিষ্ঠান থেকেও জানা যায়নি। যদিও জহির তাকে সিইও বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এডাব্লিউআরের একজন কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে জানান, জহুরুল ইসলাম জহির এক সময় এই প্রতিষ্ঠানের নির্ভরযোগ্য কর্মকর্তা ছিলেন। তবে প্রতিষ্ঠানের কিছু অর্থ তসরুফ করার কারণে তাকে এই পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগও। আর এসব নিয়ে জহিরের প্রথম স্ত্রীর সংসারেও চলছে চরম অশান্তি। আরিফা খন্দকার মিতা নামের তার এই স্ত্রীর হাতে একাধিকবার নাজেহালও হয়েছেন তিনি।