বিশ্বকাপ সরিয়ে নেয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিল কাতার
স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ কাতারের বদলে অন্য কোনো দেশে ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাবে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে দেশটির আয়োজক কমিটির প্রধান।
গ্রীষ্মের অত্যধিক তাপমাত্রার কথা বিবেচনায় এনে শীতে বিশ্বকাপ সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। আর ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান গ্রেগ ডাইকতো আরো একধাপ এগিয়ে কাতার থেকে অন্য কোনো দেশে বিশ্বকাপ সরিয়ে নেয়ার কথা বলেছেন।
বিবিসি স্পোর্টসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির প্রধান হাসান আল থাওয়াদি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী কাতারে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজন না করার কোনো কারণই নেই।
“আমরা আয়োজক হওয়ার সব শর্ত পূরণ করতে অনেক খেটেছি। একই সঙ্গে আমরা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সব কিছু করছি।”
মধ্যপ্রাচ্যও বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করার দাবি রাখে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যই হচ্ছে সঠিক স্থান। আর আমরা মধ্যপ্রাচ্যকে প্রতিনিধিত্ব করছি।”
কাতারে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়াটা ‘ভুল’ ছিল বলে সম্প্রতি স্বীকার করেন বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার। গ্রীষ্মে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে তাপমাত্র ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে বলে বিশ্বকাপের সময়টা শীতকালে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু হাসান আল থাওয়াদি বলেন গ্রীষ্মে বিশ্বকাপ আয়োজন করা খুবই সম্ভব।
“আমরা গ্রীষ্মকালীন বিশ্বকাপের জন্য প্রতিযোগিতা করেছি। এটাই মূল পরিকল্পনা। আমরা এটা নিয়েই সামনে এগুচ্ছি। আমি সবাইকে নিশ্চিন্ত করতে পারি যে, কাতারে গ্রীষ্মে বিশ্বকাপ আয়োজন করাটা মোটেও অসম্ভব কিছু নয়।
গ্রীষ্মে কাতারের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে বলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্টেডিয়ামে ম্যাচগুলো হওয়ার কথা।
তবে বছরের যেকোনো সময় বিশ্বকাপ আয়োজনে কাতার প্রস্তুত বলে থাওয়াদি জানান।
“কাতারে আমরা অসাধারণ একটি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে প্রস্তুত, তা জুন-জুলাই বা নভেম্বর-ডিসেম্বর বা জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি যে কোনো সময়ই হোক।”
শীতে বিশ্বকাপ আয়োজন করলে ইউরোপীয় লিগগুলোর সমস্যা হয় বলে সাধারণত গ্রীষ্মেই বিশ্বকাপ হয়।
২০১০ সালে ফিফার ২২ সদস্যের নির্বাহী কমিটির ভোটে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হওয়ার সুযোগ পায়।