জাতির জনকের জন্মদিন আজ

বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (১৭ মার্চ ২০২১) : পরিবারের রোগা–পাতলা ছেলে ‘খোকা’ থেকে রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের প্রিয় মুজিব ভাই। ছাত্রজনতার বঙ্গবন্ধু থেকে গণমানুষের মুক্তির মহানায়ক। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা থেকে এক স্বাধীন জাতির জনক। ৫১ বছর বয়সে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা আর ৫৫ বছর বয়সে বিয়োগান্ত হত্যাকাণ্ডে জীবনাবসান। উত্তাল এই জীবনের নাম শেখ মুজিবুর রহমান। আজ তাঁর জন্মদিন।

আজ থেকে এক শ বছর আগে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ পরিবারে জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান। ঠিক ৫০ বছর আগে ১৯৭১ সালের এমন এক মার্চে বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। সে ডাকে সাড়া দিয়ে মাত্র ৯ মাসে ৩০ লাখ মানুষ বুকের তাজা রক্ত ঢেলে নিয়ে আসে স্বপ্নের স্বাধীনতা। এর জন্য মানুষকে তিলে তিলে তৈরি করেছেন তিনি। নিজেও তিলে তিলে সয়েছেন শত যন্ত্রণা। জীবনের ১৪টি বছর কাটিয়েছেন কারাগারে।

স্মরণ আর উৎসবে দেশ আজ তার মুক্তির মহানায়ককে সামনে নিয়ে এসেছে। গত বছর এই দিনটি ছিল তাঁর শততম জন্মদিন। সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত পুরো বছর মুজিব বর্ষ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে গত বছর সূচি অনুযায়ী মুজিব বর্ষ উদ্যাপন করা যায়নি। এবার স্বাধীনতার ৫০ বছর উদ্যাপন করছে বাংলাদেশ। এই বছর তাই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনটি আরও বিশেষভাবে ধরা দিয়েছে। তাই শতবর্ষী বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন আর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১০ দিনের অনুষ্ঠান ‘মুজিব চিরন্তন’ শুরু হচ্ছে আজ বুধবার।

বিশ্বনেতারা সশরীর আর ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ইতিহাসের এই মহাপুরুষকে ভালোবাসা জানাবেন। সেই সঙ্গে তাঁরা সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকা এ মহানায়কের অমর কীর্তির কথা স্মরণ করবেন। বিশ্বনেতারা মাত্র ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ রাষ্ট্রটির পাঁচ দশকের অর্জন আর সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়েও কথা বলবেন।

বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ১০ দিনের এই উৎসবে ঢাকায় সশরীর হাজির হচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ, নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং।

এ ছাড়া চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চুং স্যু-কুয়েন, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন, ওআইসির মহাসচিব ইউসেফ আহমেদ আল-ওথাইমিন এবং পোপ ফ্রান্সিস ভার্চ্যুয়ালি মুজিব চিরন্তনের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। দেবেন ভিডিও বার্তা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলছেন, এটা কোভিড সংক্রমণের এক অস্বাভাবিক সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ নেতাদের বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্বের গভীরতা আর আস্থার বহিঃপ্রকাশ।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ