বিক্ষোভের আগুনে পুড়ছে মিয়ানমার, আরও ৯ প্রাণহানি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসিনিউজবিডি, মিয়ানমার (১৯ মার্চ ২০২১) : মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারকে প্রতিবেশীসহ অপরাপর দেশগুলো সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছে। কিন্তু সহিংসতা তো থামেনি, উল্টো আরও বেড়েছে। দেশটিতে আরও ৯ বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন। শুক্রবার মধ্য ও উত্তরাঞ্চলীয় দুই শহরে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা বাহিনী এসব মানুষকে সরাসরি গুলি করে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর সেনাদের হাতে আটক দেশটির নির্বাচিত নেতা অং সান সু চির সমর্থকদের দ্বারা এই বিক্ষোভ দমন করতে সামরিক বাহিনীর সদস্য ও পুলিশ সহিংস কৌশলের ব্যবহার দিন দিন বাড়াচ্ছে। তবে এতেও প্রতিবাদকারীদের থামানো যায়নি। বেশ কয়েকটি শহরে জনতা ফের বিক্ষোভ করেছে।
দেশটির একটি সংবাদমাধ্যম ও বিক্ষোভের সময় ঘটনাস্থলে থাকা এক ব্যক্তি রয়টার্সকে জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অংবানে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি চালালে শুক্রবার এসব মানুষ প্রাণ হারান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্রত্যক্ষদর্শী টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের দেওয়া ব্যারিকেড ঠেকাতে আসলে মানুষ তাদেরকে বাঁধা দেয়। তারা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালানো শুরু করে।’
অংবানে শেষকৃত্যে সংস্থার একজন বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গুলি করতে শুরু করলে ঘটনাস্থলেই ৭ জন প্রাণ হারান। এরপর পাশের শহর কালাউয়ের হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় একজনের। এছাড়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় লোইকো শহরে আরও এক বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন।
সর্ববৃহৎ শহর ইয়াঙ্গুনেও শুক্রবার বিক্ষোভ হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো সেখানেও গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানাচ্ছে। তবে এখনো কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় ছাড়াও মিইনগিয়ান, কাথা ও পূর্বাঞ্চলীয় মিরাবতী শহরেও এদিন অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে।
সামরিক জান্তা সরকারের মুখপাত্রের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। তবে আগে বলা হয়েছিল, শুধু প্রয়োজনে গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। অবশ্য সমালোচকরা এই ব্যাখ্যাকে হাস্যকর বলছেন। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের চলমান অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ২৩৩ জনের মৃত্যুর তথ্য জানা যাচ্ছে।