বিদেশেও ষড়যন্ত্র: হাসিনা
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ আওয়ামী লীগের পুনরায় ক্ষমতায় আসা ঠেকাতে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র কাজ করবে বলে সন্দেহ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে শনিবার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এই সন্দেহের কথা জানান।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “এত কাজ এত অল্প সময়ে করে ফেলা, এটা মনে হয় কারো পছন্দ হবে না। আন্তর্জানিক ক্ষেত্রে অনেকে চাইবে না- বাংলাদেশ এগ্রিয়ে যাক, মাথা উঁচু করে দাঁড়াক। সেজন্য তাদেরও নানা রকম ষড়যন্ত্র থাকবে।”
গণভবনে শনিবার বিকালে বরিশাল মহানগর, বরিশাল জেলা, মৌলভীবাজার, চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারী, পিরোজপুর, বগুড়া, গোপালগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলা, থানা, উপজেলা ও প্রথম শ্রেণির পৌরসভা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী গত সাড়ে চার বছরে দেশের উন্নয়ন চিত্র জনগণের সঙ্গে তুলে ধরে ভোট চাইতে তৃণমূল নেতাদের পরামর্শ দেন।
তথ্য প্রযুক্তির প্রসারের বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “বিশ্বটাকে আমরা ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত মানুষের কাছে উন্মুক্ত করে দিয়েছি।”
বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত, ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করা এবং বিনা পয়সার মাধ্যমিক পর্যন্ত বই দেয়ার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
“এখন ২৯ প্রকার ওষুধ বিনা পয়সায় দেয়া হচ্ছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা সমুদ্র বিজয় করেছি। আমাদের যেটুকু সম্পদ আছে- গরিবের ঘরে সম্পদ থাকলে সকলের নজর পড়ে। আওয়ামী লীগ থাকলে বাংলাদেশের এই সম্পদে কেউ হাত দিতে পারবে না। বিএনপি বা অন্য কেউ ক্ষমতায় আসলে নিজের ক্ষমতার লোভে দেশ বেঁচে দিতে পিছ পা হবে না।”
“আর, আমাদের বিরোধীদলীয় নেত্রী ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট চেয়েছিলেন, গ্রেনেড মেরে আমাদের হত্যা করে ফেলতে।”
বিরোধী দল নির্দলীয় সরকারের দাবি তুললেও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের পক্ষে নিজের অবস্থান আবার জানান প্রধানমন্ত্রী।
“সংবিধান মোতাবেক দেশটা চলবে। বারবার এই দেশে ক্ষমতা পরিবর্তনের সময় নানাভাবে নানা ঘটনা ঘটেছে। আর কতবার এ দেশের মানুষ এই কষ্ট সহ্য করবে? আর কতবার এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হবে?”
গত ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ এবং পরবর্তীতে সরকারের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মুসল্লি হত্যার অপপ্রচার চালানোর কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
“ইসলামের হেফাজত আওয়ামী লীগই করে। আওয়ামী লীগ সরকারই করে। অন্যরা ইসলামের নাম বিক্রি করে ব্যবসা করে। ওরা করে ইসলামের নাম নিয়ে রাজনীতি। আর, আমরা করি সেবা।”
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করতে তৃণমুল নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “৭৫ এর পর এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিল, যেন স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিরা দেশ চালাতে না পারে। পরাজিত শক্তিরাই দেশ চালাতে পারবে।”
বিরোধীদলীয় নেতাকে আলোচনার আহ্বান জানানোর কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা বিরোধীদলীয় নেত্রীকে আলোচনার আহ্বান জানালাম। আর চৌঠা মে উনি আমাদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলেন।”
বিএনপি আলোচনা চায় না বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।