নির্বাচনে পুলিশের দায়িত্ব গুরুত্বপূর্ণ

hasina pressconferance শেখ হাসিনারিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ আগামী নির্বাচনে নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার রাজধানীর পুলিশ সদরদপ্তরে নবনির্মিত ‘ন্যাশনাল ক্রাইম কন্ট্রোল অ্যান্ড অপারেশনস্ মনিটরিং সেন্টার’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান তিনি বলেন, “আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হিসেবে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। আমার বিশ্বাস আপনারা নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সাথে সে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবেন।”

চলতি বছরের শুরু থেকে যুদ্ধাপরাধের মামলার রায়কে কেন্দ্র করে জামায়াতি সহিংসতার মধ্যেও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “ধর্মান্ধ জামায়াত-শিবির ও হেফাজতের হিংস্র, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও ধ্বংসযজ্ঞ রোধে পুলিশ সদস্যগণ যে ধৈর্য, সহিষ্ণুতা, ত্যাগ, নিষ্ঠা, নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন তার জন্য আমি এ বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে ধন্যবাদ জানাই।”

পুলিশ বাহিনীকে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার ওপর জোর দেন সরকারপ্রধান।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, এনকম ভবন নির্মাণ হওয়ায় পুলিশের অভিযান চালানোর সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পাবে এবং আইনি সেবা কার্যক্রম আরও সুষ্ঠুভাবে পর্যবেক্ষণ সম্ভব হবে।

“কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম সম্প্রসারণ, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণসহ পুলিশের কমান্ড ও কন্ট্রোল সিস্টেম নির্বিঘ্ন হবে। ফলে পুলিশের সার্বিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।”

এ ভবন নির্মাণে সহযোগিতা করার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এছাড়া দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন সময়ে যে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগ যখনই সরকার পরিচালনার দায়িত্বে এসেছে জাতির পিতার প্রদর্শিত পথে একটি সুশৃঙ্খল, দায়িত্বশীল, জবাবদিহিমূলক ও জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করেছে।”

তিনি বলেন, এবার সরকারের দায়িত্বে এসে তার সরকার পুলিশে ৭৩৩টি ক্যাডার পদসহ ৩২ হাজার পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইজিপি পদকে সিনিয়র সচিবের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। পুলিশ বিভাগের একাধিক পদকে গ্রেড-২ থেকে গ্রেড-১ এ উন্নীত করা হয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পুলিশের বাজেট বৃদ্ধি, ঝুঁকিভাতা বৃদ্ধি ও কল্যাণ ফান্ড গঠনের কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা। এর পূর্বশর্ত হলো বিনিয়োগের পরিবেশকে সমুন্নত রাখা।… দেশের উন্নয়নবিরোধী যে কোনো অপশক্তি দমনে আপনাদেরকে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।”

পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিপদগ্রস্ত মানুষ পুলিশের কাছে যায় সাহায্যের আশায়। তারা যাতে কোনো ধরনের হয়রানি, দুর্ব্যবহার বা দুর্ভোগের শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

“পেশাগতভাবে দায়িত্বশীল এবং মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল থেকে আপনাদের জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।”

কর্মক্ষেত্রে কোনো ধরণের চাপে প্রভাবিত না হয়ে নিরপেক্ষ থেকে নির্ভয়ে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের জন্য পুরিশ সদস্যদের ট্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ