প্রেমের বলি শাহ আলম, সাড়ে ৪ বছর পর হত্যার রহস্য উদঘাটন
জেলা প্রতিনিধি (সিরাজগঞ্জ), এবিসিনিউজবিডি (৫ আগস্ট ২০২১) : তালাক প্রাপ্তা এক নারীর তিনজন প্রেমিক। প্রেমিকার কাছে বাকি দু’জনকে আসতে নিষেধ করায় পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয় শাহ আলমকে নামের এক প্রেমিককে। সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চর বেলকুচি গ্রামের বেকারি দোকানের কর্মচারী শাহ আলম (৩৫) হত্যার এমন ঘটনার প্রায় ৫ বছর পর রহস্য উদঘাটন করেছে সিআইডি পুলিশ। জেলা পুলিশের হাত ঘুরে ক্লু-লেস এই মামলা দেয়া হয় জেলা সিআইডি পুলিশকে। সিআইডি পুলিশ এ মামলার রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট সিরাজগঞ্জ সিআইডি কার্যালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিরাজগঞ্জ সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার কামাল হোসেন। নতুন যোগ দেয়া এই কর্মকর্তা জানান, সম্পূর্ণ ক্লু-লেস (সুত্র বিহিন) শাহ আলম (৩৫) হত্যার সাড়ে চার বছর পর রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের মূল আসামি জুলহাস ওরফে জুলু (৫৭) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। নিহত শাহ আলম উপজেলার বওড়া গ্রামের মৃত জামাল মোল্লার ছেলে।
সিরাজগঞ্জের সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, পুলিশের পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ২০১৭ সালের ২৭ জানুয়ারি বেলকুচি উপজেলার যমুনার চরাঞ্চলে ছোনের ভেতর থেকে দোকান কর্মচারী শাহ আলমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিনই নিহতের স্ত্রী মোছা. ডশরিনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ কিছুদিন মামলাটি তদন্ত করে। পরে মামলা সিআইডিকে হস্তান্তর করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) এ মামলার অন্যতম আসামি জুলহাস ওরফে জুলুকে কামারখন্দ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বুধবার (৪ আগস্ট) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
জুলহাসের দেয়া জবানবন্দি থেকে জানা যায়, বওড়া গ্রামের তালাকপ্রাপ্তা নারী কাকলির সঙ্গে শাহ আলম ও জুলহাসসহ তিনজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে শাহ আলম প্রেমিকাকে গালিগালাজ করেন এবং বাকি প্রেমিকদের আসতে নিষেধ করেন। এতে জুলহাস, কাকলি ও তার আরেক প্রেমিক ক্ষুব্ধ হয়ে শাহ আলমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি রাতে শাহ আলম প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এসে ঘুমিয়ে পড়লে কাকলি ও তার দুই প্রেমিক বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে। পরে যমুনা নদীর একটি দুর্গম চওে ছোনের ভেতরে লাশ ফেলে দিয়ে আসেন তারা।