যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিতরা নির্বাচনে অযোগ্য

cabinet pm shekh sheikh hasina শেখ হাসিনাসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ যুদ্ধাপরাধে দন্ডিতদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষনা করে গণ-প্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) সংশোধনীর চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রি পরিষদ সচিব জানান, সংশোধিত অধ্যাদেশে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় ১৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া দলীয় ফান্ডে অনুদান হিসেবে ব্যক্তির ক্ষেত্রে ১০ লাখ টাকার স্থলে বাড়িয়ে ২৫ লাখ এবং সংস্থা বা কোম্পানীর ক্ষেত্রে এ অনুদান করা হয়েছে ২৫ লাখ টাকার স্থলে ৫০ লাখ টাকা।

তিনি আরো জানান, নির্বাচনকালে দলীয় প্রধানদের নির্বাচনী এলাকা সফরের ব্যয়ের হিসাবে নির্ধারিত ২৫ লাখ টাকার হিসাবের মধ্যে দেখানো হবে না। এ ছাড়া এ আইনের ফলে বাড়ছে জামানতের পরিমানও। এক্ষেত্রে প্রাথীর জামানত পূর্বে ১০ হাজার টাকা থাকলেও এখন তা করা হলো ২০ হাজার টাকা। আর মামলা ফি ২ হাজার টাকার স্থলে ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।
এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা সরকারি কর্মস্থল পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যে অনুশাসন দেবে তা মানার বিধান রাখা হয়েছে। মন্ত্রি পরিষদ সচিব জানান, এ আইনটি এখন ভেটিং এরজন্য পাঠানো হবে। পরে এটি সংসদে উঠবে।
বিদ্যমান আরপিওতে চারজন নির্বাচন কমিশনার থাকার বিধান রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন,পোলিং এজেন্ট নিয়োগের ক্ষেত্রে পূর্বের নিয়মে আরো সংযোজন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কেবল ভোটার হলেই হবেনা পোলিং এজেন্টকে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটার হতে হবে।
প্রার্থীতা প্রত্যাহারর ক্ষেত্রে পূর্বের নিয়ম সংশোধন করা হয়েছে। নতুন সংশোধনীতে প্রাথী নিজে অথবা দলের পক্ষ থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের বিধান রাখা হয়েছে।
এছাড়া মন্ত্রিসভা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম (নিয়ন্ত্রন) আইন ২০১৩’র খসড়ার চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এবিষয়ে তিনি বলেন, এর আগে এই আইন অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে। এখন যেহেতু সংসদ চলছে, সে জন্য এ আইনটি সংসদে উত্থাপিত হবে, সে কারণেই আজ আবার আইনটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম (নিয়ন্ত্রন) আইন ২০১৩’র আইন অনুযায়ী কোন এমএলএম কোম্পানী যদি আইন অমান্য করে প্রতরনার আশ্রয় নেয়, সেই ক্ষেত্রে সরকার প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে।
মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা বলেন, বর্তমানে যারা এমএলএম কোম্পানী পরিচালনা করছেন, তারা নতুন আইন অনুযায়ী লাইসেন্স না নিলে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদন্ড ও ৫০ লাখ টাকা জড়িমনার বিধান রাখা হয়েছে। তিরি আরো বলেন, লাইসেন্স ছাড়া নতুন করে কেউ এই ব্যবসা পরিচালনা করলে সেই ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারা দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া লাইসেন্স হস্তান্তর করলে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে এই আইনে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ