শাহরুখপুত্রকে ধরে বেকায়দায় বানখেড়ে
কালচারাল রিপোর্টার, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (১৩ অক্টৈাবর ২০২১) : নামটা একটু খটমটে, সমীর বানখেড়ে। প্রায় এক যুগ ধরে পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষটি হয়ে উঠেছেন বলিউডের ‘ত্রাস’। দিনের পর দিন বলিউডের অন্ধকার দিকগুলো প্রকাশ করার কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছেন।
কিন্তু এবারই প্রথম অন্য রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, তার ওপর নজরদারি করছে মুম্বাই পুলিশ।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, সমীরের অভিযোগ, কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই তাকে অনুসরণ করছে মুম্বাইয়ের ওশিয়ারা থানার পুলিশ। এ বিষয়ে অভিযোগও করেছেন তিনি।
এনসিবির এক কর্মকর্তা জানান, ছয় বছর ধরে নিয়মিতই একটি সমাধিস্থলে যান সমীর বানখেড়ে। সেখানে তাঁর মায়ের মৃতদেহ সৎকার করা হয়েছিল। মূলত মাকে শ্রদ্ধা জানাতেই তিনি সেখানে যান। সমীর বানখেড়ের দাবি, সেখানে মুম্বাইয়ের ওশিয়ারা পুলিশ স্টেশনের দুই কর্মী তাঁকে অনুসরণ করেছেন। শুধু তা–ই নয়, সমীর সেখানে কী করেছেন, জানতে সিসিটিভি ফুটেজও দেখা হয়েছে।
৯ মাস আগে এই এনসিবি কর্মকর্তার হাতেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রী নবাব মালিকের জামাই সমীর খান। সেবারও মাদক নিয়েই চলে গ্রেপ্তারি। নবাব মালিক নিজেই পরে আরিয়ানের গ্রেপ্তারি বিষয়ে একাধিক অভিযোগ তোলেন। তার অভিযোগ, মাদকসংক্রান্ত বিষয়ে মুম্বাইয়ে ধরা পড়ার পরও বিজেপি নেতার ঘনিষ্ঠ একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। নবাব মালিকের দাবি, কর্ডেলিয়াতে যে তল্লাশি হবে, অনেক আগে থেকেই তা পরিকল্পিত। যদিও এনসিবির পক্ষ থেকে সব অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়।
মালিকের অভিযোগের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আঠাওয়ালে বলেন, এনসিবি একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। বিজেপির সঙ্গে এর কোনো যোগাযোগ নেই। যখন এই প্রতিষ্ঠান কাজ করে, তখন রাজনৈতিক দলের প্রসঙ্গ টানা সম্পূর্ণ সম্পর্কহীন ও অপ্রাসঙ্গিক। মালিক একেবারেই ভুল অভিযোগ করেছেন। এনসিবি ঠিকঠাকই তাদের কাজ করছে।
মালিক গত শনিবার অভিযোগ করেন, এনসিবির মুম্বাই ইউনিট জোনাল ডিরেক্টরের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক অটুট আছে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, সমীর বানখেড়ে ও বিজেপি নেতাদের মধ্যে কোনো কথাবার্তা হয়েছে।’ তিনি এই বলে অভিযোগ করেন, ‘মুম্বাই উপকূলে প্রমোদতরিতে অভিযান চালানোর পরে এনসিবির সমীর বলেছিলেন, ৮ থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু সত্য হলো, ১১ জনকে আটক করা হয়। পরে তিনজন ঋশভ সচদেব, প্রতীক গাবা ও আমির ফার্নিচারওয়ালাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
মালিক প্রশ্ন তোলেন, প্রমোদতরি থেকে ১১ জনকে আটকের পরে কার নির্দেশে তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হলো।
মালিকের অভিযোগের জবাবে এনসিবি বলছে, সেকশন ৬৭ ধারায় সবাইকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের সম্পূর্ণরূপে পরীক্ষা করা হয়েছে। সবার বিবৃতি রেকর্ড করা হয়েছে। যেহেতু তাঁদের অভিযুক্ত করার মতো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তাই ওই তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।