গাইবান্ধা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
নিজস্ব প্রতিবেদক (গাইবান্ধা), এবিসিনিউজবিডি (২৫ নভেম্বর ২০২১) : : গাইবান্ধা জেলা এলজিইডি’র (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর) নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে সদ্য নিয়োগ পাওয়া ছাবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে নেমেছে একটি মহল। জেলার ‘সাঘাটা উপজেলা প্রকৌশলী’ হিসেবে ২০০৬ নিয়োগ লাভের পর থেকে অত্যন্ত সৎ ও নিষ্ঠাবান এই কর্মকর্তা উপজেলায় ব্যপক পরিবর্তান এনেছেন। ‘৩৬০ মিটার ত্রিমোহনী ব্রিজ এবং সড়ক নির্মাণের মধ্য দিয়ে গাইবান্ধা থেকে গোবিন্দগঞ্জ হয়ে রংপুর বগুড়া ও ঢাকার সাথে পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা, অসংখ্য সড়ক পাকা করণের মধ্য দিয়ে বর্তমান গ্রামীন যোগাযোগ ব্যবস্থা ও আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করাসহ বাঙ্গাবাড়ি ঘাটে ২৭৩ মিটার ব্রিজ নির্মাণ করেন। ছাবিউল ইসলামের কর্মে সাঘাটা এলাকার মানুষের বহুদিনের কাঙ্খিত প্রত্যাশা পূরণ হওয়ায় শুধু সাঘাটা উপজেলায়ই নয়, পুরো গাইবান্ধা জেলায়ই এলজিইডি’র এই কর্মকর্তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। এ-সবই কাল হয়েছে গাইবান্ধা জেলা এলজিইডি’র সদ্য নিয়োগ পাওয়া নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলামের। স্থানীয় একটি মহলের সাথে ষড়যন্ত্রে নেমেছেন গাইবান্ধা এলজিইডি থেকে প্রধান কার্যালয়ে ফিরে আসা এক প্রকৌশলীও। আমার বার্তার অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেড়িয়ে এসেছে।
জানা গেছে, সাঘাটা উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) হিসেবে ২০০৬ সালে নিয়োগ পাওয়ার পর এই উপজেলার অত্যন্ত শততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে ব্যাপক উন্নয়ন করেন ছাবিউল ইসলাম। এর পর ২০২০ এর ফেব্রুরযারি থেকে ২০২১ এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ‘সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী গাইবন্ধা’য় কর্মরত ছিলেন তিনি। পদোন্নতি পাওয়ার পরবর্তিতে তাকে বরিশালে বদলি করা হয়। এর পর গত অক্টোবর মাসে প্রধান কার্যালয় থেকে গাইবান্ধা জেলায় নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। সদ্য নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই তিনি আবারো জেলার এলজিইডি বিভাগের উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন। এতে বিরাগ ভাজন হয়েছেন একটি অসাধু চক্র।
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, এই অসাধু চক্রের সাথে হাত মিলিয়ে কলকাঠি নাড়ছেন গাইবান্ধা থেকে ঢাকায় এলজিইডি’র প্রধান কার্যালয়ে ফিরে আসা এক কর্মকর্তা। জানা গেছে, এই কর্মকর্তা কয়েকটি গণমাধ্যমে ছাবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্যের সংবাদও পরিবেশন করাচ্ছেন।