মিরপুরের শাহ আলী থানার অভিযান, মটরসাইকেল চোর সিন্ডকেটের প্রধান দুই সহযোগিসহ গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (১০ মার্চ) : মটর সাইকেল ছিনতাই করে তার নাম্বার অপসারণের পর অবৈধভাবে পান্স করে নতুন নাম্বার বসানো হয় বডিতে। এর পর এই নতুন নাম্বারেই তৈরি করা হয় নাম্বার প্লেট। বসিয়ে দেওয়া হয় মটর সাইকেলে। বদলে দেওয়া হয় মটর সাইকেলের প্রকৃত পরিচয়। ছিনতাইয়ের পর নতুন নাম্বার প্লেট বসিয়ে বিক্রয় করার সঙ্গে যুক্ত রাজধানীর একটি বড় সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের প্রধানের নাম লিটন দেওয়ান। রাজধানী চারিদিকে শতাধিক সদস্য রয়েছে এই সিন্ডিকেটের। এদের ধরতে ডিএমপির বিভিন্ন থানা-পুলিশ বেশ সজাগ থাকলেও এরা অনেক ধূর্ত। এক দিনের বেশি সময় থাকতো না একই এলাকায়। স্থান পরিবর্তন করতো ঘন্টায় ঘন্টায়।
মিরপুর বিভাগের ডিসি আ.স.ম মাহাতাব উদ্দিন একটি অভিযোগের ভিত্তিতে নিশ্চিত হন মটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটের প্রধান তারই শাহ আলী থানা এলাকায় অবস্থান করছে। এর পরই এই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামানকে অবহিত করে সিন্ডিকেট প্রধানসহ সহযোগিদের পাকড়াওয়ের নির্দেশ দেন। মাঠে নামেন আসাদুজ্জামান। তথ্য সংগ্রহ ও অভিযানের দায়িত্ব দেন থানার চৌকষ অফিসার (এসআই) রাকিব খানের হতে।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সকালে এসআই রাকিব খান চোরাই মটর সাইকেল কিনে প্রতারিত হওয়া এক ব্যক্তিকে দিয়ে লিটন দেওয়ানকে ফোন করান। চোরাই মটর সাইকেল ফেরৎ নিয়ে তার টাকা ফেরৎ দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করার পর দুপুরে (আজ) লিটন দেওয়ান তাকে শাহ আলী থানার অদূরে একটি বাসার ঠিকানা এসএমএস করে দিয়ে মটর সাইকেল নিয়ে যেতে বলেন। কাউকে সাথে না নিতে বলেন তিনি। পুলিশও সাদা পোশাকে বাড়ির আশপাশে অবস্থান নেয়। প্রতারিত ব্যক্তি মটর সাইকেল গেটের কাছে রেখে বাসার ভেতরে যায়। এর পরই রাকিব খান বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। কয়েকজন পালিয়ে গেলেও চোর সিন্ডিকেটের প্রধান লিটন দেওয়ানকে তার বডিগার্ড হিসেবে সঙ্গে থাকা মিঠুন ও মানিকসহ আটক করা হয়। আটকের সময় লিটনের ক্যাডাররা এস আই রাকিব খানের ওপর হামলা চালায়। হামলায় তিনি সামান্য আহত হন। খবর পেয়ে ওসি আসাদুজ্জামান রাকিব খানকে উদ্ধার এবং আসামিদের থানায় আনতে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠান ঘটনাস্থলে। এসময় পুলিশ লিটনের দখলে থাকা তিনটি চোরাই মটর সাইকেল উদ্ধার করে।