পল্লবীর ওসির বিরুদ্ধে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (১৩ মার্চ ২০২২) : রাজধানীর পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলামের বিরুদ্ধে মাদক মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ করেছে একটি পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের সোর্সকে চাঁদা না দেওয়ায় মাদকের মামলা দিয়ে তিন ভাইবোনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৩ মার্চ (রোববার) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন গ্রেপ্তার তিনজনের বোন পৃথিবী আক্তার। এ সময় তিনি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। অভিযোগ প্রসঙ্গে পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, তারা পল্লবীর মিল্লাত ক্যাম্পের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। মাদকসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে পৃথিবী আক্তার বলেন, গ্রেপ্তারের সময় পুলিশ তাদের মিল্লাত বিহারি ক্যাম্পের বাসায় হামলা চালায়। হামলায় বাধা দেওয়ায় তাদের মাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় পুলিশ। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ভোরে মারা যান তাদের মা।
পৃথিবী আক্তার আরও বলেন, ‘১৬ ফেব্রুয়ারি পল্লবী থানার সোর্স তারেক আমাদের বাসায় এসে চাঁদা দাবি করেন এবং ছোট বোন দীপা আক্তারকে খারাপ প্রস্তাব দেন। এর প্রতিবাদ করায় পল্লবী থানার এসআই তাপসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আমার ভাই ডলারের ওপর হামলা করে। মা এতে বাধা দিলে পুলিশ তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। মা জ্ঞান হারালে পুলিশ পালিয়ে যায়। পরে রাত ৩টার দিকে মা হাসপাতালে মারা যান।’
পৃথিবী আক্তার বলেন, ‘পুলিশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই আমার মাকে কবর দিতে বাধ্য করে। পরে আমরা এই ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করতে চেয়েছিলাম। এই মামলার কথা শুনে পুলিশ উল্টো আমাদের ফাঁসাতে মাদকের মামলা করে। সেই মামলায় আমার ভাই ডলার, স্কুলপড়ুয়া বোন দীপা আক্তার ও রিপা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।’
পৃথিবী আক্তার জানান, রিপার ছয় মাসের শিশুসন্তান রয়েছে। মা জেলে থাকায় শিশুটি সারাক্ষণ কান্নাকাটি করছে। এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা পারভেজ ইসলাম বলেন, ‘রিপাকে গ্রেপ্তারের সময় তার শিশুসন্তানের কথা বলা হয়নি। আমরা জানলে শিশুটিকে মায়ের সঙ্গে দিয়ে দিতাম।’