কক্সবাজারে দ্রুতগতির ট্রেন যাবে আগামী বছর
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (৬ এপ্রিল ২০২২) : পর্যটন শহর কক্সবাজারে যাতায়াত সহজ করতে দ্রুতগতির ট্রেন চালুর কাজ এগিয়ে চলেছে। আগামী বছরের জুনে প্রথমবারের মতো ঢাকা-কক্সবাজার পথে এই রেল যোগাযোগ শুরু হওয়ার আশা করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কাজ এগিয়েছে ৬৯ শতাংশ। নতুন এই রেলপথ নির্মিত হলে ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারে দ্রুতগতির ট্রেন চলতে পারবে।
আগামী ডিসেম্বরে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেলপথ মন্ত্রণালয়। গত মার্চ পর্যন্ত দোহাজারী-কক্সবাজার ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে ৬৯ শতাংশ। ফলে ডিসেম্বরের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে আগামী বছরের জুনে ট্রেন চালুর লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধিরও প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে।
প্রকল্পটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। এই পথে রেললাইন চালুর প্রাথমিক লক্ষ্য পর্যটক। তাই পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কক্সবাজারে নির্মিত হচ্ছে দেশের আইকনিক রেলস্টেশন। কক্সবাজারের ঐতিহ্য ধরে রাখতে স্টেশনটি হচ্ছে ‘ঝিনুকের’ আকৃতিতে। পর্যটকেরা চাইলে নিজেদের
লাগেজ স্টেশনের লকারে রেখে সমুদ্রস্নানে চলে যেতে পারবেন। এতে হোটেল ভাড়া না করে রাতের ট্রেনে ফিরে আসার সুযোগ পাবেন পর্যটকেরা।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রেলপথ ৩২০ কিলোমিটার। আর চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজার ১০০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে মিশ্র গেজ ডাবল লাইন নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই পথে মিটারগেজ ও ব্রডগেজ দুই ধরনের ট্রেনই চলতে পারবে। দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্তও মিশ্র গেজ রেললাইন নির্মিত হচ্ছে। অর্থাৎ এই পথে রেললাইন বসানো শেষ হলে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত দ্রুতগতির ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। এ ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত বিদ্যমান রেলপথের কিছুটা সংস্কার করতে হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, ঢাকা-কক্সবাজার পথে দ্রুতগতির ট্রেন পরিচালনার জন্য নতুন ইঞ্জিন-কোচ কেনার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে অত্যাধুনিক ইঞ্জিন-কোচ কেনার প্রকল্প নেওয়া হয়। নতুন লাইন নির্মাণের পর এসব ইঞ্জিন-কোচ দিয়ে চাইলে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ট্রেন চালানো যাবে।