‘র্যাগিং রোধে নীতিমালা থাকলে ইবির ঘটনা নাও ঘটতে পারত’
বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘বুলিং বা র্যাগিং’ রোধে নীতিমালা থাকলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হলের ঘটনা না–ও ঘটতে পারত বলে মনে করেন হাইকোর্ট। বুলিং রোধে পঞ্চম দফায় নীতিমালার খসড়া দাখিলের পর এ-সংক্রান্ত শুনানিতে হাইকোর্ট এ মন্তব্য করেন।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ১৯ ফেব্রুয়ারি নীতিমালার ওপর ওই শুনানি হয়। শুনানি নিয়ে আদালত পরবর্তী অগ্রগতি জানাতে আগামী ৮ মে দিন ধার্য রেখেছেন।
‘মোটা বলে সহপাঠী ও শিক্ষকের লাঞ্ছনার শিকার মৃত কিশোরের পরিবার যা বলছে’ শিরোনামে ২০২১ সালের ৮ জুলাই বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ বিষয়ে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ ওই বছরের ১৬ আগস্ট রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ২২ আগস্ট হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘বুলিং’ রোধে নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং বিদ্যালয়ে বুলিং রোধে নীতিমালা বা গাইডলাইন তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
অন্যদিকে ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে পরদিন ‘অপমানের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা’ শিরোনামে প্রথম আলোয় প্রতিবেদন ছাপা হয়। সেদিনই বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সেদিন হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। পৃথক রুল একসঙ্গে শুনানির জন্য আদালতে ওঠে।