হল-মার্ক জালিয়াতির অভিযোগপত্রে দুদকের অনুমোদন
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সোনালী ব্যাংক থেকে হল-মার্কের ঋণ জালিয়াতির মামলায় ২৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সোমবার কমিশনের সভায় এ তদন্ত প্রতিবেদন অনুমোদন পাওয়ার পর দুদকের কমিশনার (তদন্ত) সাহাবউদ্দিন চুপ্পু ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান। তিনি বলেন, “দীর্ঘ তদন্তের পর আজ দুদক হল-মার্কের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে। ২৫ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা চলবে।” সোনালী ব্যাংকের ১২০০ কোটি টাকা জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে। সাহাবউদ্দিন চুপ্পু জানান,২০১০ সাল থেকে ১০১২ সাল পর্যন্ত সোনালী ব্যাংকের পর্ষদে যারা ছিলেন তাদের কারো নাম এ তদন্ত প্রতিবেদনে আসেনি। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর নামও চুড়ান্ত প্রতিবেদনে আসেনি। অভিযোগপত্রে যাদের নাম এসেছে তারা হলেন- হল-মার্কের এমডি মো. তানভীর মাহমুদ, তার স্ত্রী হল-মার্কের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, তানভীরের ভায়রা ও হল-মার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ; ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া,সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. জিয়াউর রহমান, কর্মকতা মো. জাহাঙ্গীর আলম, অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. শহিদুল ইসলাম,স্টার সিপিনিংয়ে মালিক আবদুল বাসির। এছাড়া টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, প্যারাগন গ্রুপের পরিচালক সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক, সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকারের নাম এসেছে অনুমোদন পাওয়া প্রতিবেদনে। সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে রূপসী বাংলা শাখার ব্যবস্থাপক এ কে এম আজিজুর রহমান, কর্মকর্তা মো. সাইফুল হাসান, আবদুল মতিন ও মেহেরুন্নেসা মেরি, ননী গোপাল নাথ, মফিজইদ্দিন, মীর মহিদুর রহমান, হুমায়ুন কবির, মাইনুল হক, আতিকুর রহমান, শেখ আলতাফ হোসেন, মো. সফিকউদ্দিন আহমেদ ও মো. কামরুল হোসেন খান। কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে সোনালী ব্যাংক রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে মোট ২ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে হল-মার্ক। এর মধ্যে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে পরিশোধিত (ফান্ডেড) অর্থ হচ্ছে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা। এ ঘটনায় ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর হল-মার্কের এমডি, চেয়ারম্যানসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা করা হয়।