‘রাষ্ট্রপতি দলের নাকি দেশের হবেন, তা তার ওপর নির্ভর করবে’
মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (২৪ এপ্রিল ২০২৩) : বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন এর শপথ নেয়ার পর এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্রপতি দলের হবেন, নাকি দেশের হবেন, তা তার ওপর নির্ভর করবে।
২৪ এপ্রিল দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে পরিস্থিতি চরমভাবে ঘনীভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির ভূমিকা দেশের মানুষের কাছে, রাজনীতিতে মোটেও হালকা নয়। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রত্যাশা এবার অন্যরকম। যদিও তিনি কী বলবেন, কী করবেন তা জানা নেই। তিনি দলের উদ্দেশ্য পূরণ করবেন নাকি দেশের জন্য কাজ করবেন, সেটা তার ওপর নির্ভর করবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংকট সমাধানে রাষ্ট্রপতির অবদান রাখার সুযোগ আছে। কিন্তু নতুন রাষ্ট্রপতি কতটা করবেন, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে। জাতির কাছে অতটা পরিচিত নন এমন একজন ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি হওয়ায় বিএনপি কিছুটা হতাশ। আওয়ামী লীগেও এমন অনেক লোক ছিলেন, যাদের মধ্য থেকে রাষ্ট্রপতি করলে জনগণও খুশি হতো।
মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রপতি যেভাবে আসুক, তিনি রাষ্ট্রপতি। তার ভূমিকা দেখার বিষয়। যে প্রক্রিয়ায় তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেটা গণতান্ত্রিক হয়নি। তিনি সরকারপ্রধানের খুবই আস্থাভাজন। সরকার আবারও একতরফা নির্বাচন করতে চায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে চায় না সরকার। তবে তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। সরকার এককভাবে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়েছে।
ফখরুল বলেন, নতুন রাষ্ট্রপতি পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব নিলেন। রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের অভিভাবক। যদিও তার নির্বাহী ক্ষমতা তেমন নেই। প্রধানমন্ত্রী ও বিচারপতি নিয়োগই তার প্রধান কাজ। সংসদীয় গণতন্ত্রে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সীমিত থাকে। দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ ও বর্তমান পরিস্থিতিতে তার গুরুত্ব কম নয়। রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তার ভূমিকা খাটো করে দেখার কিছু নেই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিদায়ী রাষ্ট্রপতি খাঁটি আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন। তবে মানুষ হিসেবে তিনি খুব ভালো, প্রাণবন্ত মানুষ। তার দিক থেকে তিনি কতটাই বা করতে পারতেন, সেটাও সবারই জানা। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনা হবে। একটা ব্যক্তির কাছে সর্বময় ক্ষমতা থাকতে পারে না। সেজন্যই আমরা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনার কথা বলছি।