১০ বছর পর আজ বঙ্গভবন ছাড়লেন আবদুল হামিদ
আনোয়ার আজমী, বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (২৪ এপ্রিল ২০২৩) : দুই মেয়াদে টানা ১০ বছর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনের পর বঙ্গভবন ছাড়লেন মো. আবদুল হামিদ। ২৪ এপ্রিল তিনি স্বপরিবারে বঙ্গভবন ছেড়ে গুলশানের নিজ বাড়িতে যান।
রাষ্ট্রপতির দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদায়ী রাষ্ট্রপতিকে বঙ্গভবনের সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে বিদায় জানানো হয়েছে। শপথ অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গভবন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানানো হয় সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে।
আবদুল হামিদ তার উত্তরাধিকারী মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব হস্তান্তরের পর তিনি ঢাকার নিকুঞ্জ এলাকায় তার নিজের বাড়িতে উঠেন। তিনতলা এই বাড়িতে আসবাবসহ সব সরঞ্জাম দিয়ে বসবাসের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এবং নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এবিসিনিউজবিডিকে জানান, বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ গ্রহণের পরপরই রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ার বদল করেন। এর মধ্য দিয়ে মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হন।
মো. আবদুল হামিদ প্রথম দফায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল শপথ নিয়ে সেদিনই বঙ্গভবনে উঠেছিলেন। যদিও এর আগে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের অসুস্থতার সময় এবং তার মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের স্পিকার থাকার কারণে মো. আবদুল হামিদ ৪১ দিন ভারপ্রাপ্ত ও অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তবে সে সময় তিনি বঙ্গভবনে ওঠেননি।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পরই তিনি বঙ্গভবনে উঠেছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আবদুল হামিদ ছাড়া আরও ১৬ জন রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আবদুল হামিদ স্বাধীন বাংলাদেশে সাতবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি সংসদে নিজের এলাকা কিশোরগঞ্জের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও স্পিকারের দায়িত্বও পালন করেছেন।
আবদুল হামিদ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন আবদুল হামিদ।