বিএনপি গ্রামের মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত করেছিল : প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকা (১২ জুলাই ২০২৩) : বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে গ্রামের মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ১১ জুলাই (মঙ্গলবার) সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি : প্যানেল ডিসকাশন‘ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা গ্রামীণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করি। আরও আড়াই হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করে এবং আমাদের স্থাপন করা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়। এর মাধ্যমে গ্রামের মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আবারও ক্ষমতায় এসে আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালু করি। সেসময় সবমিলিয়ে সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা শুরু হয়। বর্তমানে সেগুলো থেকে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সবার পাশাপাশি মানুষকে বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয় যে, জাতিসংঘ আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলকে স্বীকৃতি দিয়েছে। একইসঙ্গে এ উদ্ভাবনী চিন্তাকে বিশ্বের সব দেশকে অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘ। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি অনন্য অর্জন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন-২০১৮ পাস করেছি। শ্রমজীবী মানুষকে নিয়মিত চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। চার মাসের বেতন-ভাতাসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিত করা হয়েছে। জনগণকে উন্নত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল।
মানুষের বর্তমান গড় আয়ু ৭৩ বছর জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৬ সালে মানুষের গড় আয়ু ছিল ৫৯ বছর। বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছর হয়েছে। আমরা ৯৭ শতাংশ মানুষের কাছে বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা পৌঁছে দিয়েছি। ইউনিয়ন পর্যায়ে দক্ষ দাত্রী দিয়ে প্রসব সেবা দেওয়া হচ্ছে।