অন্য দলগুলোও নির্বাচনে যাবে না : মির্জা ফখরুল
আনোয়ার আজমী, বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩) : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০১৪ সালে একটা নির্বাচন হয়েছিল, সেটা কী ধরনের নির্বাচন হয়েছিল সবাই জানে। ১৫৩ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছিল। রংপুরের মানুষও ভোট দিতে পারেনি। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে আগের রাতেই সব ভোট হয়ে গিয়েছিল। যে সরকারের আমলে পরপর দুটি নির্বাচন ডাকাতি হয়ে যায়, চুরি হয়ে যায়, জনগণ ভোট দিতে পারে না সেই সরকারের অধীনে আর নির্বাচন করা যায় না।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রংপুর নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে তারুণ্যের রোডমার্চের উদ্বোধনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল রংপুর থেকে দিনাজপুর অভিমুখে তারুণ্যের রোডমার্চ আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শুধু বিএনপি নয় বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়। বাম গণতান্ত্রিক জোট আমাদের সঙ্গে নেই কিন্তু তারাও ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না।
আওয়ামী লীগ জনগণকে মিথ্যা বোঝানোর চেষ্টা করছে বলে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই সরকার ভোট দিতে চেয়ে ভোট দেয়নি এবং মানুষ ভোট দিতে পারেনি। অথচ আমাদের এই দেশ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা তৈরি করার জন্য। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তারা (আওয়ামী লীগ) আটক করে রেখেছে। আমাদের তরুণদের আশা-ভরসার জায়গা, তরুণরা যার দিকে তাকিয়ে আছে সেই নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে, সাজা দিয়ে তাকে দেশে আসতে দেয় না। তাকে নির্বাসিত করে রেখেছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আজকে তারুণ্যের এই রোডমার্চ শুরু হলো। যেদিন আমরা এই সরকারের পতন ঘটাতে পারব সেই দিন রোডমার্চ শেষ হবে। আমাদের দাবি খুব পরিষ্কার, আপনি (শেখ হাসিনা) এখনই পদত্যাগ করেন। আপনাকে এই দেশের মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সংসদ বিলুপ্ত করেন, পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। আর নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। কারণ আপনার সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে, জনগণ অংশগ্রহণ করবে। যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দিয়ে পার্লামেন্ট তৈরি করবে, নতুন বাংলাদেশ তৈরি করবে। যদি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যেতে পারি তাহলে আমরা নির্বাচিত হয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবো।
বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নেই উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের নেত্রীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে সাজা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছিল। এখন তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তিনি (খালেদা জিয়া) অত্যন্ত অসুস্থ, ডাক্তাররা সবাই খুব চিন্তিত। এই সরকারের কাছে তার পরিবার এবং আমরা বারবার তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য বলেছি। কারণ ডাক্তাররা বলেছেন এখানে তার চিকিৎসা করার কোনো সুযোগ তাদের আর নেই।