রায় নিয়ে রিভিউ করবেন রাজ্জাক
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সুযোগ নেই বলে অ্যাটর্নি জেনারেল দাবি করলেও আব্দুল কাদের মোল্লার আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আপিল বিভাগের মৃত্যুদণ্ডের রায় পর্যালোচনায় আবেদন করবেন তারা।
রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি দণ্ডিত জামায়াত নেতার পরিবারের ‘বিষয়’ বলে এড়িয়ে গেছেন তিনি।
কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আপিল গ্রহণ করে মঙ্গলবার সকালে আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়।
রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, এই রায় নিয়ে ‘রিভিউ’ আবেদন করার কোনো সুযোগ নেই। তবে কাদের মোল্লা রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন।
রায়ের পর ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, “পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে আমরা রিভিউ আবেদন করব।”
রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, “আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন, এই রায় মানতে আমরা বাধ্য।
“একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল, কিন্তু এটি একটি ভুল রায়। বিচারের ইতিহাসে এটি একটি দুঃখজনক অধ্যায়।”
বিশেষ আইনে এই বিচার হয়েছে বলে এতে রিভিউ আবেদন না থাকার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ব্যরিস্টার রাজ্জাক বলেন, “রিভিউ করা কাদের মোল্লার সাংবিধানিক অধিকার। এই সুপ্রিম কোর্টও সৃষ্টি হয়েছে সংবিধানের দ্বারা। আইসিটি অ্যাক্টে এই সুপ্রিম কোর্ট সৃষ্টি হয়নি।”
রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “এটা তো আসবে রিভিউর পর। এটা নিয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করব না। এটা তার (কাদের মোল্লা) এবং তার পরিবারের বিষয়।”
ব্যারিস্টার রাজ্জাকের সঙ্গে থাকা বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “এটি একটি ভুল রায়। এই ভুল রায় সঠিক করার জন্য আমরা রিভিউ করব। আমরা আশা করি, রিভিউর মাধ্যমে সঠিক করতে পারব।”
জামায়াতের জোটসঙ্গী বিএনপির চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা মাহবুব বলেন, “মৃত্যুদণ্ড বিশ্বজুড়েই একটি বিতর্কিত বিষয়। যে সাক্ষ্য-প্রমাণ নিয়ে বিচারিক আদালত তাকে যাবজ্জীবন দিল, একই সাক্ষ্য প্রমাণ নিয়ে আপিল বিভাগ তাকে মৃত্যুদণ্ড দিল।”
রাজ্জাক ও মাহবুবের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ থাকলেও এই রায় নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হননি তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “এখানে আমি আইনজীবী হিসাবে উপস্থিত হয়েছি। কিন্তু যেহেতু আমি একটি দলকে বিলং করি। তাই এখানে কোন মন্তব্য করব না। দলের প্রতিক্রিয়া থাকলে সেটা দল থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়া হবে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াও সেখানে ছিলেন।