নিউজিল্যান্ডকে বিদায় করে ফাইনালে ভারত
আশীক মাহমুদ, সিনিয়র প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (১৫ নভেম্বর ২০২৩) : মুম্বাইয়ে কিউই বোলারদের কচুকাটা করে রান-উৎসব করেছেন কোহলি-আইয়াররা! তাদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে রান পাহাড় গড়েছিল ভারত। জিততে হলে এই পাহাড় টপকে নতুন করে ইতিহাস লিখতে হতো কিউইদের। কিন্তু মোহাম্মদ শামি সেখানে দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেন! এই ডানহাতি পেসারের আগুনে পুড়েছে কেন উইলিয়ামসনের দল। তার ৭ উইকেট শিকারের সুবাদে ৭০ রানের জয়ে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে স্বাগতিকরা।
১৫ নভেম্বর মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৯৭ রান করে ভারত। সর্বোচ্চ ১১৭ রান এসেছে বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে। তাছাড়া সেঞ্চুরি পেয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ারও।
জবাবে খেলতে নেমে ৪৮ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩২৭ রানে থেমেছে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩৪ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ৭৩ বলে ৬৯ রান করেছেন উইলিয়ামসন। ভারতের হয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন মোহাম্মদ শামি। ৭ উইকেট নিয়ে একাই ঘুরিয়েছেন ম্যাচটাকে।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডের। ষষ্ঠ ওভারে প্রথমবার বল হাতে আক্রমণে আসেন শামি। তার করা প্রথম বলটা চতুর্থ/পঞ্চম স্টাম্পে ছিল, গুড লেন্থের এই বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ধরা পড়েন কনওয়ে। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে ১৩ রান।
কনওয়ে ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রাচিন রবীন্দ্র। এই ওপেনারও শামির শিকার হয়েছেন। অস্টম ওভারের পঞ্চম বলে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। আসর জুড়ে দারুণ পারফর্ম করা রবীন্দ্র সেমি ফাইনালে করতে পেরেছেন মোটে ১৩ রান।
৩৯ রানে দুই উইকেট হারানোর পর কিউই সমর্থকরা হয়তো আশা ছেড়ে দিয়েছিল। তবে হাল ছাড়েননি উইলিয়ামসন-মিচেল। এই দুই টপ অর্ডার ব্যাটার মিলে তৃতীয় উইকেটে ১৮১ রানের জুটি গড়েন। তাতে ম্যাচেও ফেরে তারা। কিন্তু ৭৩ রান করে উইলিয়ামসন ফেরার পর ফের পথ হারায় দল।
মিচেল এক প্রান্তে দুর্দান্ত খেললেও তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। শেষ পর্যন্ত ৯ চার আর ৭ ছক্কায় ১১৯ বলে ১৩৪ রান করে থেমেছেন মিচেল। এই মিডল অর্ডার ব্যাটার ফেরার পর নূন্যতম প্রতিরোধটুকুও গড়তে পারেনি দল। এক শামির আগুনেই পুড়ে ছাই কিউইরা! এই পেসার একাই শিকার করেছেন ৭ উইকেট।
এর আগে ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা-শুবমান গিল নতুন বলে আক্রমণাত্মক শুরু করেন। ট্রেন্ট বোল্টের মতো বিশেষজ্ঞ সুইং বোলারও সুবিধা করতে পারেননি। শুরুর ৫০ রান তুলতে মাত্র ৩২ বল খরচ করেছেন ভারতীয় ওপেনাররা। যেখানে সিংহভাগ রানই আসে রোহিতের ব্যাট থেকে।
উড়ন্ত শুরু করলেও রোহিত সাজঘরে ফিরেছেন হাফ সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। নবম ওভারে টিম সাউদিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কেন উইলিয়ামসনের হাতে ধরা পড়েছেন ভারত অধীনায়ক। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৯ বলে ৪৭ রান।
রোহিত ফেরার পর রানের গতি কিছুটা কমেছিল। তবে সেটা ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন গিল। তাতে ১৩তম ওভারেই তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে স্বাগতিকরা।