নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলে শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরবেন বুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা
আনোয়র আজমী, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (১ এপ্রিল ২০২৪) : ক্যাম্পাস রাজনীতিমুক্ত ও অপশক্তির কবল থেকে মুক্ত থাকলে এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলে শিগগিরই একাডেমিক (শিক্ষা) কার্যক্রমে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন বুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাঁরা একই সঙ্গে পরীক্ষাগুলোর তারিখ পুনর্র্নিধারণ করারও আবেদন করেছেন।
বুয়েট ক্যাম্পাসের ড. এম এ রশীদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে ৩১ মার্চ রোববার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে এসব বক্তব্য তুলে ধরা হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনজন লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান।
শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি না চাওয়া মানেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মতাদর্শ থেকে দূরে সরে যাওয়া নয়। লিখিত বক্তব্যে তাঁরা বলেছেন, ‘ক্ষমতার লোভ এবং অপচর্চা আবারও এসে আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে না ফেলুক। আমরা সব শিক্ষার্থীই গর্বের সঙ্গে আমাদের দেশপ্রেম, স্বাধীনতার চেতনার চর্চা আমাদের অন্তরে লালন করি।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ২৭ মার্চ (বুধবার) রাত দেড়টায় বুয়েটের মূল ফটক দিয়ে মোটরসাইকেল ও গাড়ি নিয়ে ছাত্রলীগের অন্তত ৭০ থেকে ৮০ জন নেতা-কর্মী ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন। তাঁরা ক্যাফেটেরিয়ার সেমিনার কক্ষে বৈঠক করেন, সেখানে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন ছিল। মোটরসাইকেল, গাড়ি নিয়ে দীর্ঘসময় ক্যাম্পাসে ‘শোডাউন’ করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনও সেই ‘অভিযানে’ ছিলেন।’
বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রবেশের প্রতিক্রিয়ায় ২৯ মার্চ থেকে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা টার্ম ফাইনাল পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক (শিক্ষা) কার্যক্রম বর্জন করে চলেছেন। আজ সকাল সাতটা থেকে বুয়েট ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে আন্দোলনত শিক্ষার্থীদের জড়ো হওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা সেখানে যাননি। পরে বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেন তাঁরা।
এর আগে আজ দুপুরে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলন চালুর দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করেন। বুয়েট ক্যাম্পাস থেকে কিছুটা দূরে এই সমাবেশ হয়। পরে সমাবেশ শেষে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা বুয়েট ক্যাম্পাসে যান এবং কিছু সময় শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করেন।