আইনমন্ত্রীর অভ্যর্থনায় আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
জেলা প্রতিবেদক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), এবিসিনিউজবিডি (১৩ জুলাই ২০২৪) : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেনসহ উভয় পক্ষের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ১২ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আখাউড়া রেল স্টেশনের বাইরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে ঢাকা থেকে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে আসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ উপলক্ষ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান মনির হোসেন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে শোভাযাত্রাসহ স্টেশনের বাইরে সিএনজি স্ট্যান্ডের সামনে অবস্থ্না নেন। অন্যদিকে মন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে স্টেশনের ভেতরে অবস্থান নেন পৌর মেয়র তাকজিল খলিফার নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহবুদ্দিন বেগ, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া। আইনমন্ত্রী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্টেশন থেকে বের হয়ে গাড়িতে কসবার উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে উপজেলার সড়ক বাজারের দিকে হাঁটা শুরু করেন উভয়পক্ষের নেতারা।
দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের সূত্রে জানা গেছে, রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরের এক আত্মীয়কে চড় মারেন পৌর মেয়রের ভাই ফোরকান খলিফা। একই সময়ে আইনমন্ত্রীর গাড়িবহরের সঙ্গে দৌড়ে যাওয়ার সময় উপজেলা নির্বাচনে মনিরের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেনকে কে বা কারা লাথি মারেন। এর জের ধরে মুরাদ হোসেন, শাহাবুদ্দিন বেগ, ফোরকান খলিফা, সোহাগ মিয়া, মো. সাকিবসহ তাদের কর্মী-সমর্থকেরা দা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে মনির ও তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালান। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মনিরের সমর্থক শাখাওয়াত হোসেনসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে শাখাওয়াত হোসেন বলেন, মন্ত্রী মহোদয়কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে আমাদের ভেতরে যেতে দেওয়া হয়নি। তখন আইনমন্ত্রী হট্টগোল দেখেছেন। তিনি চলে যাওয়ার পর পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ও তার লোকজন পেছন থেকে চেয়ারম্যানসহ আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। আমি কোনোভাবে চেয়ারম্যানকে রক্ষা করি। বিষয়টি মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। তিনি দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
এ ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে জানিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হোসেন। তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনাটি পরিকল্পিত। কারণ তারা একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভ্যান গাড়ি থেকে দা, লাঠিসোঁটা নিয়ে আসেন।
আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বলেন, এখানে দুটি পক্ষ আছে। তবে কোনো উত্তপ্ত পরিবেশ নেই। বর্তমানে উভয় পক্ষই শান্ত আছে। মন্ত্রী স্যার বিষয়টি দেখছেন।