হাসিনার সময় শেষ, একদিন আগেই ভারতকে জানায় ওয়াশিংটন
মেহ্দী আজাদ মাসুম, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (৮ আগস্ট ২০২৪) : বাংলাদেশে অস্থিরতা কমানোর জন্য রোববার সংকট মোকাবিলায় নিরাপত্তা বৈঠক আহ্বান করেছিলেন শেখ হাসিনা। তখনও প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার সময় শেষ হওয়ার বিষয়টি মানতে রাজি ছিলেন না বলে মনে হচ্ছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি যে জনস্রোতে ভেসে যাবেন প্রকৃতপক্ষে খুব কম মানুষই তার দ্রুতগতির এমন বিদায় সম্পর্কে ধারণা করতে পেরেছিলেন।
শেষ পর্যন্ত শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কথা শোনার পরিবর্তে পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যদের পরামর্শেই তিনি পালিয়ে যেতে রাজি হয়েছিলেন, বিবিসিকে বলেছেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। শেখ হাসিনা সঠিক সময়ে তার মন স্থির করেন পালানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জনতা তার বাসভবনে প্রবেশ করে।
রোববার সকালের দিকে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়। দেশের শীর্ষ তিন সামরিক প্রধান, জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তারা অংশ নেন। বৈঠকের পরিবেশ ছিল শান্ত। দেশজুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলায় প্রধানমন্ত্রীর ওপর কয়েক সপ্তাহ ধরে চাপ বাড়ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ এই সহিংসতায় প্রায় চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
কেবল রোববারই কমপক্ষে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে; যাদের মধ্যে বেশিরভাগই বিক্ষোভকারী এবং তারা নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন। তবে ক্রমবর্ধমান সহিংসতায় পুলিশের অনেক সদস্যও নিহত হয়েছেন। বিবিসি বাংলা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানতে পেরেছে শেখ হাসিনা ‘দুটি বিকল্প’ খোলা রাখতে চেয়েছিলেন। দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি চলাকালীনও তিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন।