রাজশাহীতে মাসুদ হত্যা, মামলা হয়নি, পুলিশের দায়িত্বহীনতার অভিযোগ
জেলা প্রতিনিধি (রাজশাহী), এবিসিনিউজবিডি (১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪) : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবদুল্লাহ আল মাসুদকে (৩১) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই দিনেও মামলা হয়নি। পুলিশ বলছে, ঘটনাস্থলের কোন মানুষ মুখ খুলছেন না। তবে স্থানীয়রা বলছেন, পুলিশ মাসুদকে দ্রুত হাসপাতালে নিলে তাকে বাঁচানো যেত। পুলিশ আহত মাসুদকে চিকিৎসা না দিয়ে থানায় আটকে রেখে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে মাসুদের ওপর হামলা হয়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় থানায় সোপর্দ করা হয়। এরপর হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান। ময়নাতদন্তের পর গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর গোরস্থানে (বাড়ির পাশের গ্রাম) মাসুদকে দাফন করা হয়।
গতকাল দুপুরে লাশ নেওয়ার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে মাসুদের স্ত্রী বিউটি আরা তার পাঁচ দিনের সন্তানকে কোলে নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। মেয়ের নাম এখনো রাখা হয়নি। তিনি জানান, আকিকা দিয়ে বাবার নামের সঙ্গে মিল রেখে মেয়ের নাম রাখার কথা ছিল মাসুমা আক্তার। সেই আকিকা আর দেওয়া হলো না।
গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত মাসুদের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ থানায় অভিযোগ নিয়ে যাননি। পুলিশের একটি সূত্র বলছে, তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন, কিন্তু সেখানকার কোনো মানুষ মাসুদকে পিটিয়ে হত্যার বিষয়ে তথ্য দিচ্ছেন না। যারা তাকে থানায় নিয়ে গিয়েছিলেন, তাদেরও পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনার পর মতিহার থানায় রমজান নামের এক লোক জানতে গিয়েছিলেন, মাসুদের নামে ওই থানায় কোনো মামলা ছিল কি না। মামলা না থাকার কথা শুনে তারা নগরের বোয়ালিয়া থানায় আহত মাসুদকে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।